বাতিল NEET পরীক্ষা? বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

নিট (NEET UG 2024) পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জলঘোলা যেন শেষই হতে চাইছে না। নিট পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ বর্তমানে তোলপাড় হয়ে রয়েছে।…

NEET

নিট (NEET UG 2024) পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে জলঘোলা যেন শেষই হতে চাইছে না। নিট পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ বর্তমানে তোলপাড় হয়ে রয়েছে। সেইসঙ্গে প্রশ্নের মুখে রয়েছে বহু ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যৎ। এরই মাঝে এই নিট নিয়ে বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট।

এমনিতে আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নিট পরীক্ষা বাতিল হবে নাকি যেমন আছে ফলাফল তেমনই থাকবে কিনা সেটা নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এরপরেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট পুনর্ব্যক্ত করেছে যে আদালত NEET-UG, 2024-এর কাউন্সেলিংয়ে স্থগিতাদেশ দেবে না। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে যে, “কাউন্সেলিং চলবে এবং আমরা এটি বন্ধ করব না। পরীক্ষা চললে সব কিছু সামগ্রিকভাবে চলে।”

   

গোটা পরীক্ষাকে বাতিল করা ঠিক হবে না। এদিকে গ্রেস মার্ক পাওয়া ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতি করা হচ্ছে বলে জানালো এনটিএ। এর পাশাপাশি যে সকল পরীক্ষার্থী পুনরায় পরীক্ষা দিতে রাজি নন তাঁদের গ্রেস মার্ক ছাড়তে হবে বলে বিকল্প প্রস্তাব দিল এনটিএ। 

 তিনটি আবেদনের শুনানি হচ্ছে আজ সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনে দাবি করা হয়েছে, গ্রেস মার্কস দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে, তাই ফের নিট ইউজি পরীক্ষা নেওয়া হোক। এনইইটি ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানানো আবেদনকারীরা কাউন্সেলিংয়ের উপরও স্থগিতাদেশ চেয়েছেন। বিচারপতি বিক্রম শেঠ ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি চলছে। তিনটি আবেদনের মধ্যে একটি ফিজিক্স ওয়ালার সিইও আলাখ পান্ডে দাখিল করেছেন। তাঁর দাবি, এনটিএ-র গ্রেস মার্কস দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছাচারী। পড়ুয়াদের না জানিয়েই আচমকাই গ্রেস মার্কস দিয়ে রেজাল্ট প্রকাশ করে এনটিএ। আগে থেকে কোনো নোটিশ ছিল না।

রিপোর্ট অনুযায়ী, আলাখ পান্ডে প্রায় ২০,০০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন, যেখানে দেখা গেছে যে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী ৭০ থেকে ৮০ নম্বর পর্যন্ত গ্রেস মার্কস পেয়েছে। দ্বিতীয় পিটিশনটি এসআইও সদস্য আবদুল্লা মোহাম্মদ ফয়েজ এবং ডঃ শেখ রোশন মহিউদ্দিন এনইইটি ইউজি ২০২৪ ফলাফল প্রত্যাহার করে নতুন করে পরীক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন।

আবেদনকারীরা এনটিএ-র বিরুদ্ধে গ্রেস মার্কস দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে বলেছিলেন যে ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭১৮ এবং ৭১৯ নম্বর পাওয়া অসম্ভব। NTA-র বিরুদ্ধে সময় নষ্ট করার জন্য গ্রেস মার্কসের মাধ্যমে পিছনের দরজা দিয়ে কিছু শিক্ষার্থীকে ভর্তি করার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এক কেন্দ্র থেকে কীভাবে ৬ জন টপার হতে পারে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আবেদনকারীরা। আবেদনে কাগজ ফাঁসের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এনইইটি কাউন্সেলিংয়ের উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সিট গঠনের দাবিও উঠেছে।

তৃতীয় পিটিশনটি দাখিল করেন এনইইটি পরীক্ষার্থী জরিপিটি কার্তিক, যেখানে গ্রেস মার্কস মঞ্জুর এবং পরীক্ষার সময় সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে এটি দেওয়ার পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল।