লোকপাল আদেশে স্থগিতাদেশ, হাই কোর্ট বিচারকদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট লোকপাল কর্তৃপক্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে৷ ওই আদেশে বলা হয়েছিল, লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন, ২০১৩ অনুযায়ী হাই কোর্টের বিচারকদের…

Supreme Court Declines Interim Stay on Detention Camps in Case Involving Bengali-Speaking Workers

নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট লোকপাল কর্তৃপক্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে৷ ওই আদেশে বলা হয়েছিল, লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন, ২০১৩ অনুযায়ী হাই কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে। সুপ্রিম কোর্ট এই আদেশকে “খুবই উদ্বেগজনক” বলে অভিহিত করেছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার ও লোকপালের রেজিস্ট্রারকে নোটিশ পাঠিয়েছে।

এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এটি একটি সংবেদনশীল বিষয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শুনানি শুরু করেছে। লোকপাল গত ২৭ জানুয়ারি হাই কোর্টের একটি অতিরিক্ত বিচারকের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে, ওই বিচারক অন্য দুই বিচারককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। লোকপাল আদালতের পর্যায়ে সেই বিচারককে ‘জনসেবক’ হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

   

কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, লোকপালের ব্যাখ্যা সঠিক নয়। তার মতে, হাই কোর্টের বিচারকদের লোকপাল তদন্তের আওতায় আনা সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি দাবি করেন, বিচারকদের বিরুদ্ধে এমন তদন্তের জন্য কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

লোকপালের আদেশের পর, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ, বিচারপতি এএম খানউইলকারের নেতৃত্বে, সিদ্ধান্তের ওপর সংশয় প্রকাশ করে। বেঞ্চ জানায়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা পর্যালোচনার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পরামর্শ নেওয়া হবে। লোকপাল ওই দুটি অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থগিত রেখেছে এবং প্রধান বিচারপতির দিকনির্দেশনার অপেক্ষা করছে।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকার এবং লোকপালের রেজিস্ট্রারকে নোটিশ পাঠিয়ে, এই বিষয়টির পরবর্তী শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছে।

Advertisements

এ বিষয়ে আইন মহলে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বিচারকদের বিরুদ্ধে তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করতে পারে, অন্যদিকে কেউ কেউ এটিকে দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার শক্তিশালী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। এখন এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির ওপর নির্ভর করছে।