ঋতুমতি মহিলাদের মাসিক ছুটি, আর্জি খারিজ করে শঙ্কার কথা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট

ঋতুমতি মহিলাদের কর্মস্থলে মাসে অন্তত দু’দিন সবেতন ছুটি দেওয়ার আর্জির জনস্বার্থের মামলায় সায় দিল না সুপ্রিম কোর্টে। সিদ্ধান্তের বিষয়টি আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান…

supreme court on periodical paid leave of ladies in work place, ঋতুমতি মহিলাদের সবেতন মাসিক ছুটি, আর্জি খারিজ করে শঙ্কার কথা শোনাল সুপ্রিম কোর্ট

ঋতুমতি মহিলাদের কর্মস্থলে মাসে অন্তত দু’দিন সবেতন ছুটি দেওয়ার আর্জির জনস্বার্থের মামলায় সায় দিল না সুপ্রিম কোর্টে। সিদ্ধান্তের বিষয়টি আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের আশঙ্কা, সুপ্রিম কোর্ট আর্জির বিরোধী নয়, কিন্তু আদালতের রায়ের উল্টো ফলও হতে পারে। যা কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের পিছিয়ে দিতে পারে।

Advertisements

বর্তমানে বিহারে রাজ্য সরকারের মহিলা কর্মচারীদের মাসিকের সময় দু’দিন সবেতন ছুটি দেওয়া হয়। লালুপ্রসাদ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৯২ সালে এই ছুটি চালু করেছিলেন, যা এখনও অব্যহত। সম্প্রতি কেরলে পিনারাই বিজয়ন সরকারও মহিলাদের মাসিকের সময় মাসে তিন দিন সবেতন ছুটি মঞ্জুর করেছে।

বিজ্ঞাপন

‘ওরা ঈর্ষান্বিত’, মোদীর রাশিয়া সফরে পশ্চিমী দুনিয়াকে এক-হাত ক্রেমলিনের!

নির্দেশ দানের সময় বিচারপতিরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, প্রতি মাসে দু-তিন দিন সবেতন ছুটি দেওয়ার নির্দেশ জারির পর বেসরকারি উদ্যোক্তারা মহিলাদের নিয়োগে অনীহা দেখাতে পারে। ফলে চাকরির বাজারে সমস্যায় পড়তে পারেন মহিলারা। তাই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির উচিত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে, বিষয়টির সঙ্গে বহু বিষয় জড়িত। আমরা আবেদনকারীর আর্জি, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটির কাছে স্থানান্তের অনুমতি দিচ্ছি৷  সচিবকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে বিষয়টি নীতিগত পর্যায়ে খতিয়ে দেখতে এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে  চূড়ান্সিত সিদ্ধান্ত নিতে। একটি মডেল নীতি প্রণয়ন করা যায় কিনা তাও দেখতে বলা হচ্ছে।