নির্বাচনী বন্ড নিয়ে এখনই তদন্ত নয়, বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

নির্বাচনী বন্ড মামলায় কোনও তদন্ত হবেনা। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court of India)। নির্বাচনী বন্ড মামলায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট তদন্তের দাবিতে…

Supreme Court ruling on Governor bill approval

নির্বাচনী বন্ড মামলায় কোনও তদন্ত হবেনা। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme court of India)। নির্বাচনী বন্ড মামলায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল আবেদনকারীরা। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন এমনটাই জানায় সর্বোচ্চ আদালত। ওই বিষয়ে রায় দেওয়ার এখনও সময় আসেনি বলে স্পষ্টত জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। 

NEET: নিট নিয়ে এনটিএকে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ, পড়ুয়াদের স্বার্থে স্বচ্ছ রাখতে হবে গোটা প্রক্রিয়া

লোকসভা ভোটের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনী বন্ড ইস্যুটি প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। সেইসময় ওই বন্ডের সমস্ত নথি প্রকাশ করতে স্টেট ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু স্টেট ব্যাঙ্ক বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে আরও সময় চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আর্জির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মনে করে সর্বোচ্চ আদালত। এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা প্রকাশ্যে আনতে পুনরায় নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

হিন্দু ভোটের দুশ্চিন্তাতেই শুভেন্দুর দাবি মেনে তৃণমূলের বেনজির কান্ড বিধানসভায়?

তারপর প্রকাশিত সেই তালিকায় দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলি বিজেপিকে বিপুল আর্থিক অনুদানের বিষয়টি সামনে আসে। তাতেই মোদী সরকারকে চেপে ধরে কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। যা নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে পড়তে হয় বিজেপি সরকারকে। আর এই আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রভাব লোকসভা ভোটেও পড়েছিল বলে বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্কও মনে করে।

Advertisements

BJP: সংসদে বিলের ইংরেজি নাম বদলে যাচ্ছে হিন্দিতে, আড়ালে কোন হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা?

২০১৭ নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বিলটি এনেছিল তদকালীন মোদী মন্ত্রীসভা। সেইসময় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আরবিআই ও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এই নয়া নিয়মটি চালু করে কেন্দ্র। তারপর কর্পোরেটগুলি থেকে বিজেপি বিপুল আর্থিক সাহায্য পেয়েছিল বলে সরব হয় বিরোধীরা। মামলাটি গড়ায় আদালত পর্যন্তও। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই সিট গঠনের দাবি জানিয়েছিল একাধিক সংগঠন। তবে আপাতত তা খারিজ হওয়ায় বিজেপি কিছুটা স্বস্তি পেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।