Supreme Court: 498A -এর চূড়ান্ত অপব্যবহার, ‘সুপ্রিম’ মন্তব্যে চাঞ্চল্য

গৃহস্থ হিংসা ও নারী নির্যাতন সংক্রান্ত আইন 498A -এর চূড়ান্ত অপব্যবহার হচ্ছে। অনেক সময়েই সংশ্লিষ্ট আইনের বলে বহু নিরীহ ব্যক্তি যার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি এমনটাই…

Supreme Court Summons 9 States Over Harassment of Bengali Migrant Workers

গৃহস্থ হিংসা ও নারী নির্যাতন সংক্রান্ত আইন 498A -এর চূড়ান্ত অপব্যবহার হচ্ছে। অনেক সময়েই সংশ্লিষ্ট আইনের বলে বহু নিরীহ ব্যক্তি যার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)  বিচারপতি বি নাগারাত্না ও কোটেশর সিংহের বেঞ্চ। ২০২২ সালে এক্স বনাম তেলেঙ্গানা রাজ্যের মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এমনি মন্তব্য করেছেন বিচারপতির বেঞ্চ। 

Indian Navy: দুর্ঘটনার কবলে দুই নৌসেনার আধিকারিক, প্যারাশুট ছিঁড়ে ঘটলো বিপত্তি

   

উক্ত মামলায়, এক মহিলা ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে এই ধারায় নিষ্ঠুরতা এবং ডাওরি হ্যানস্থার অধীনে একটি FIR দায়ের করেছিলেন। অভিযুক্তদের মধ্যে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির ছয় সদস্য ছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে FIR বাতিল করে, কারণ আদালত উল্লেখ করেছিলেন যে তার অভিযোগ অস্পষ্ট।

বড় বিপদে ‘গডম্যান’, ২০ বছর আগে হত্যা মামলায় রাম রহিমকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

আক্রান্ত মহিলার পরিবার তার শশুড়বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায় করেছিলেন। কিন্তু সেই FIR এর কপি আদালতে পেশ করা হলে তাতে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পরে। কে অভিযুক্ত, কীভাবে নির্যাতন হয়েছে তা নিয়ে স্পষ্ট উল্লেখ ছিলোনা FIR এ। ফলে অভিযোগকারিণীর উদ্দেশ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ধরণের ঘটনাগুলি অনেক ক্ষেত্রেই কোনও পরিবারের সামাজিক সম্মানকে ক্ষুন্ন করে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তেলেঙ্গানার এই মামলাটি ওঠে। তারই প্রেক্ষিতে গৃহস্থ হিংসা আইন নিয়ে এমনই মন্তব্য বিচারপতিদ্বয়ের।

Advertisements

মহিলা ২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দুটি সন্তানের জন্ম দেন, তাই তারা ধারণা করেন যে এই সময়ে হয়তো কোনও হেনস্তা হয়নি। এই অনুমানটি কেবল ভিত্তিহীন নয়, বরং এটি সেই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে যে অনেক মহিলা সামাজিক চাপ, সম্পদের অভাব, অথবা কর্তৃপক্ষের পুনরাবৃত্তি প্রচেষ্টার কারণে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব করেন।

শুধু খাবার নয়, এবার থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও চালু করল ব্লিঙ্কিট

ভিকটিম তার দুটি সন্তান “পরিত্যাগ” করেছেন, যেগুলি তার স্বামীর হেফাজতে রয়েছে। এই অনুমানটিও সমস্যা সৃষ্টিকারী। মহিলারা প্রায়ই হেফাজত চাইতে গেলে অবিশ্বাস্য বাধার সম্মুখীন হন, যার মধ্যে আর্থিক সীমাবদ্ধতা, আইনগত সহায়তার অভাব এবং সামাজিক কলঙ্ক অন্তর্ভুক্ত। আদালত হয়তো এই সম্ভাবনা বিবেচনা করতে পারত যে ভিকটিমকে তার সন্তানদের কাছে প্রবেশাধিকার ডিনাইড করা হয়েছিল বা তিনি একটি বেদনাদায়ক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যাতে তাদের স্থিতিশীলতা অগ্রাধিকার পায়।