Supreme Court: কর্মক্ষেত্রে যৌন নিগ্রহ অ্যাক্টে বাদ রাজনীতিকরা! নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নিয়েছে এক বড় সিদ্ধান্ত (Supreme Court)। মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে একটি মামলা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। মহিলা রাজনৈতিকদের দাবি…

Supreme Court order

সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নিয়েছে এক বড় সিদ্ধান্ত (Supreme Court)। মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে একটি মামলা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। মহিলা রাজনৈতিকদের দাবি ছিল তাদেরও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, নিষিদ্ধকরণ এবং প্রতিকার আইন, ২০১৩ পোশ অ্যাক্ট এর সুরক্ষার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক। আজ সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

পোশ অ্যাক্ট, ২০১৩, মূলত কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তৈরী হয়েছিল। এই আইনের অধীনে সংগঠিত কর্মক্ষেত্র, যেমন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মহিলাদের জন্য সুরক্ষা ও প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে।

   

তবে, আইনটি রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্র বা রাজনৈতিক কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে মনে করা হয়। এই বিষয়ে দায়ের করা আবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদেরও এই আইনের আওতায় আনা উচিত, কারণ তারাও তাদের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির সম্মুখীন হতে পারেন।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, পোশ অ্যাক্টের আওতায় “কর্মক্ষেত্র” বলতে সংগঠিত খাত বা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়, যেখানে নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীর সম্পর্ক স্পষ্ট। রাজনৈতিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এই ধরনের সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক বা কাঠামো সবসময় থাকে না, ফলে এই আইনের প্রয়োগ এখানে জটিল।

তবে, আদালত এও উল্লেখ করেছে যে, মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষার জন্য অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা, যেমন ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা, প্রয়োগ করা যেতে পারে।এই রায়ের পর সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এই রায় মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের প্রতি অবিচার করেছে।

Advertisements

একজন নারী অধিকারকর্মী বলেন, “রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ ক্রমশ বাড়ছে, কিন্তু তাদের সুরক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন না থাকা দুঃখজনক। এই রায় নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।”

অন্যদিকে, কিছু আইনজ্ঞ মনে করছেন, পোশ অ্যাক্টের কাঠামোর বাইরে গিয়ে নতুন করে আইন প্রণয়নের প্রয়োজন রয়েছে। তারা বলছেন, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রের জটিলতা বিবেচনা করে একটি নতুন আইন বা নীতিমালা তৈরি করা যেতে পারে, যা মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

ভারতীয় সেনার প্রচণ্ড হেলিকপ্টার আরও ঘাতক হয়ে উঠবে, নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করবে HAL

সামাজিক মাধ্যমে এই বিষয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। অনেকে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যে, পোশ অ্যাক্টের সংশোধন বা নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মহিলা রাজনৈতিক কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক। এই রায়ের পর এই বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, তা নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন কেন্দ্রের দিকে।