‘পর্ণ’ নিষিদ্ধকরণ মামলায় নেপালের নজির টানল সর্বোচ্চ আদালত!

umar-khalid-sharjeel-imam-bail-hearing-supreme-court-uapa-2025

নয়াদিল্লি: কোনও জিনিসকে নিষিদ্ধ (Ban) করা হলে, তার প্রতি হয় মানুষের কৌতূহল বাড়ে, নয়ত তা প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনে নামে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধকরণের জন্য সরকার-পতনের সাক্ষী থেকেছে ভারতের প্রতিবেশী নেপাল। এবার ‘পর্ণোগ্রাফি নিষিদ্ধকরণ’ (Porn Ban)-এর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের Supreme Court) এজলাসে উঠে এল নেপালের সেই জেন Z বিপ্লবের উদাহরণ।

Advertisements

সপ্তাহের প্রথম দিন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই-এর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ করার আবেদন গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়, বলে সাফ জানিয়ে দেয় আদালত। সেইসঙ্গে বলা হয়, “নিষিদ্ধকরণ নিয়ে নেপালে কি হয়েছে দেখুন”।

   

নীল-ছবির সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ করতে কেন্দ্র সরকারের কাছে নীতি প্রণয়নের দাবী

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারকে পর্নোগ্রাফি (Porn Ban) দেখা রোধ করার জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি এবং নীতি প্রণয়নের আর্জি জানিয়েছিল আবেদনকারী। বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্করা যাতে এই ধরণের কোনও ‘কনটেন্ট’ না দেখতে পারেন, তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। আবেদনকারী এও বলেন, কোভিডের সময় থেকে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যেলেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যাবহার করেন।

Advertisements

কিন্তু এই ডিভাইসগুলিতে পর্নোগ্রাফি দেখা রোধ করার কোনও ব্যবস্থা নেই। যদিও পেরেন্টাল লক বা রিয়েল টাইম ট্র্যাকিং-এর মত ব্যবস্থা উপলব্ধ আছে, তবুও পর্ণোগ্রাফি (Porn Ban) রোধে কোনও আইন নেই। বিশেষ করে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের এই ধরণের কনটেন্টের সংস্পর্শে আসা উচিৎ নয়, বলে উল্লেখ করেন আবেদনকারী।

শুধু তাই নয়, আবেদনকারী ‘চমকপ্রদ তথ্য’ তুলে ধরেন, যার মধ্যে একটি অনুমান রয়েছে যে ভারতে ২০ কোটিরও বেশি পর্নোগ্রাফিক ভিডিও বা ক্লিপ বিক্রির জন্য উপলব্ধ। যার মধ্যে ‘শিশু যৌন সামগ্রী’ও রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারা 69A এর অধীনে সরকারের এই সাইটগুলিতে জনসাধারণের জন্য ব্লক করার ক্ষমতা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।