আর্থিক তছরূপে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বড় সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের

নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ সুপ্রিম কোর্টে খেলেন বড় ধাক্কা (Supreme Court)। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) এর অধীনে ২০০…

Supreme Court decesion to actress

নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ সুপ্রিম কোর্টে খেলেন বড় ধাক্কা (Supreme Court)। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) এর অধীনে ২০০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছে, এখন তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

জাস্টিস দীপঙ্কর দত্ত এবং জাস্টিস এ.জি. মাসিহের বেঞ্চ সোমবার এই রায় দিয়েছে, যাতে দিল্লি হাইকোর্টের জুলাই মাসের আদেশকে বহাল রাখা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের যোগাযোগ এবং উপহার গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের অভিযোগের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের।

   

জ্যাকলিনের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মুকুল রোহাতগি সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন, “অভিনেত্রী শুধুমাত্র উপহার পেয়েছেন, কোনো অপরাধের সাথে তাঁর যোগসূত্র নেই।” তাঁর মতে, সুকেশের অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে জ্যাকলিনের কোনো জ্ঞান ছিল না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই যুক্তিকে খারিজ করে বলেছে, “প্রসিকিউশনের দোষ প্রমাণ করার একমাত্র উপায় হলো ট্রায়াল।

এই স্টেজে হস্তক্ষেপ করা যাবে না।” বেঞ্চ জ্যাকলিনকে চার্জ ফ্রেমিং-এর স্টেজে স্পেশাল কোর্টে আবেদন করার অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু মামলা বাতিলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মামলার মূলে রয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখরের ষড়যন্ত্র। দিল্লি পুলিশের এফআইআর অনুসারে, সুকেশ রানব্যাক্সির প্রাক্তন প্রমোটার শিবিন্দর সিং এবং মালভিন্দর সিংয়ের স্ত্রীদের থেকে ২০০ কোটি টাকা তছরুপ করেছে।

সরকারি কর্মকর্তাদের ভান করে তিনি অদিতি সিং-এর কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছিলেন। ইডি-এর তদন্তে প্রকাশ পায় যে, সুকেশ এই অর্থ দিয়ে জ্যাকলিনকে দামি উপহার দিয়েছিলেন—যেমন গহনা, পোশাক, গাড়ি ইত্যাদি, যার মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা। ইডি অভিযোগ করে, জ্যাকলিন সুকেশের অপরাধমূলক ইতিহাস সম্পর্কে জানতেন এবং সংবাদপত্রের খবর যাচাই না করে উপহার গ্রহণ করেছেন।

Advertisements

জুলাই মাসে দিল্লি হাইকোর্ট জাস্টিস অনিশ দয়ালের একক বেঞ্চ জ্যাকলিনের আবেদন খারিজ করে বলেছিলেন, “কোনিজেন্স নেওয়ার পর এফআইআর বাতিলের আবেদন বজায় নেই। ট্রায়াল কোর্টে প্রাইমা ফেসি কেস পাওয়া গেছে।” জ্যাকলিনের আইনজীবী সিদ্ধার্থ অগরওয়াল বলেছিলেন, “এডি-এর অভিযোগ অনুসারে জ্যাকলিন জানতেন না যে উপহারগুলো অপরাধের ফলস্বরূপ।” কিন্তু ইডি-এর আইনজীবী জোহেব হোসেন যুক্তি দিয়েছিলেন, “অভিনেত্রীর অনলাইন সার্চেও সুকেশের খবর ছিল, তবু তিনি উপহার নিয়েছেন।”

পুজোয় বাড়তি রেকের ঘোষণা, জেনে নিন প্রথম ও শেষ মেট্রোর সময়সূচি

রাজনৈতিক মহলে এই মামলা সেলিব্রিটিদের অর্থ পাচারের সাথে যুক্ত হওয়ার উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিজেপি নেতারা বলছেন, “এমন মামলা দেখায় যে আইন সকলের জন্য সমান।” কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, “তদন্ত স্বচ্ছ হওয়া দরকার।” জ্যাকলিনের ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে সমর্থন করছেন, কিন্তু আইনি লড়াই এখনও দূরের।

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News