শত্রুর কাল হবে সুখোই ৩০ ফাইটার জেট, ‘সুপার ৩০’ প্রোগ্রাম এটিকে আরও অসাধারণ করে তুলবে

Sukhoi-30 MKI Fighter Jet Upgrade: ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) সম্প্রতি পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছে। তারপর থেকে, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়েছে।…

Sukhoi-30 MKI

Sukhoi-30 MKI Fighter Jet Upgrade: ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) সম্প্রতি পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছে। তারপর থেকে, ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানও রয়েছে, যা তার শক্তির জন্য পরিচিত। এখন হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) একটি পাঁচ বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এর অধীনে, একটি ‘সুপার-৩০’ প্রোগ্রাম পরিচালিত হবে এবং ৮৪টি সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান আপডেট করা হবে।

সুপার-৩০’ প্রোগ্রাম কী?
হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের ‘সুপার-৩০’ প্রোগ্রাম ২০২৬ সালে শুরু হবে। এর লক্ষ্য হল ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। সুপার-৩০ কর্মসূচির আওতায়, সুখোই যুদ্ধবিমানে উন্নত রাডার, ডিজিটাল ককপিট এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবস্থার মতো নতুন প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে। এটি কেবল এই বিমানগুলির যুদ্ধ ক্ষমতার জন্যই ভালো নয়, বরং এটি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে ভারতের স্বনির্ভরতারও প্রতিফলন ঘটায়।

   

সুখোই-৩০ এমকেআই-তে কী কী আপডেট থাকবে?
Virupaksha AESA রাডার: এই প্রোগ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল Virupaksha Gallium Nitride Best AESA রাডার। এই রাডার দীর্ঘ দূরত্বের লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করতে সক্ষম। ট্র্যাকিং ছাড়াও, এটি জ্যামিং-প্রতিরোধী ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত। এর ফলে সুখোই-৩০ জেট চিনা জে-৩৫এ-এর মতো স্টিলথ বিমানের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে।

ডিজিটাল ককপিট: যুদ্ধবিমানের ককপিট ডিজিটাল এবং স্বয়ংক্রিয় করা হবে। নতুন প্রজন্মের টাচ ওয়াইডস্ক্রিন ডিসপ্লে স্থাপন করা হবে। সর্বশেষ মিশন নিয়ন্ত্রণ কম্পিউটার এবং ভয়েস-অ্যাক্টিভেটেড সিস্টেমও লাগানো হবে। এতে পাইলটের কাজ সহজ হবে।

Advertisements

দেশীয় অস্ত্র: সুখোই-৩০ এমকেআই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে Astra Mk-1 এবং Mk-2, Astra MkIII এবং BrahMos-A সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র।

সুপার-৩০ প্রোগ্রামের খরচ কত হবে?
কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সুপার-৩০ প্রোগ্রামের আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৬৩,০০০ কোটি টাকা হতে পারে। এর মধ্যে নকশা, উন্নয়ন এবং পরীক্ষার খরচও অন্তর্ভুক্ত। এই অনুযায়ী, প্রতিটি যুদ্ধবিমান আপডেট করতে ১৩০-১৪০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে।