Sukhoi 30 MKI Fighter Jet: ভারত তার বায়ু শক্তি বৃদ্ধির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছে। যুদ্ধবিমানগুলিকে আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে এবং নতুন ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে। এখন সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান সম্পর্কে খবর আসছে, এটিকে অতি-আধুনিক করার জন্য এতে একটি বিশেষ জিনিস স্থাপন করা হচ্ছে। এই স্থাপনের পর, সুখোই ৩০ যুদ্ধবিমান চিনের J-35A এবং J-20-এর মতো স্টিলথ বিমানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে।
সুখোইতে বিরূপক্ষ (Virupaksha) রাডার স্থাপন করা হবে
প্রকৃতপক্ষে, রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে যে ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানকে দেশীয়ভাবে তৈরি ‘বিরূপাক্ষ’ গ্যালিয়াম নাইট্রাইড (GaN) ভিত্তিক সক্রিয় ইলেকট্রনিকভাবে স্ক্যান করা অ্যারে (AESA) রাডার দিয়ে সজ্জিত করবে। ‘সুপার সুখোই’ কর্মসূচির আওতায় এর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল পুরনো যুদ্ধবিমানগুলিকে ৪.৫ প্রজন্মের জেট দিয়ে প্রতিস্থাপন করা।
বিরূপক্ষ রাডার কী?
‘বিরুপক্ষ’ হল সর্বশেষ AESA রাডার। এতে ২৪০০টি ট্রান্সমিট/রিসিভ মডিউল (TRM) রয়েছে, যা গ্যালিয়াম নাইট্রাইড প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই প্রযুক্তির সাহায্যে, এই রাডারটি দীর্ঘ দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুও ট্র্যাক করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে, সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমানটি N011M BARS রাডার দিয়ে সজ্জিত, বিরূপক্ষ এর তুলনায় ওজনে ৩০-৪০% হালকা। এটি কেবল বিমানের গতিকেই প্রভাবিত করবে না বরং এর জ্বালানি দক্ষতাও উন্নত করবে।
বিরূপক্ষ রাডার স্থাপনের সুবিধা কী হবে?
- এটি ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে তার লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে।
- এটি ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে স্টিলথ প্রযুক্তির সাহায্যে বিমান ট্র্যাক করতে পারে।
- এর উন্নত ইলেকট্রনিক স্ক্যানিং এবং অ্যান্টি-জ্যামিং বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে ‘মিনি-AWACS’ করে তোলে।
স্টিলথ প্রযুক্তি কী? এই রাডারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি স্টিলথ প্রযুক্তি ভেদ করতে সক্ষম। আসলে, স্টিলথ এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে যুদ্ধবিমান রাডারের পরিসরে আসে না, অর্থাৎ রাডারগুলি তাদের ট্র্যাক করতে সক্ষম হয় না।