চিনে নিন নাদিয়া চৌহানকে, Frooti-র বিশাল সাফল্যের পিছনে এই ব্যবসায়ী মহিলা

Success Story: আপনি কি জানেন যে একজন মহিলা তার যোগ্যতা এবং পরিশ্রম দিয়ে তার বাবার কোম্পানিকে হাজার কোটি টাকার টার্নওভারে নিয়ে গেছেন? আসুন আমরা আপনাকে বলি…

Nadia

Success Story: আপনি কি জানেন যে একজন মহিলা তার যোগ্যতা এবং পরিশ্রম দিয়ে তার বাবার কোম্পানিকে হাজার কোটি টাকার টার্নওভারে নিয়ে গেছেন? আসুন আমরা আপনাকে বলি কে সেই মহিলা।

পার্লে এগ্রোর (Parle Agro) সাফল্যে বড় অবদান রয়েছে নাদিয়া চৌহানের (Nadia Chauhan)। এই কোম্পানিটি 1984 সালে শুরু হয়েছিল, আগে এটি শুধুমাত্র ফ্রুটির উপর নির্ভরশীল ছিল। 2003 সালে, মাত্র 17 বছর বয়সে, নাদিয়া “পার্লে এগ্রো”-এ যোগ দেন। তার ধারণা এবং কঠোর পরিশ্রম এই কোম্পানিকে একটি নতুন পরিচয় দিয়েছে এবং এটিকে ₹300 কোটি থেকে ₹8000 কোটিতে উন্নীত করেছে।

   

8000 কোটি ব্র্যান্ডের যাত্রা
আগে ফ্রুটি শুধুমাত্র শিশুদের জন্য ছিল, কিন্তু নাদিয়া এটি সবার জন্য তৈরি করেন। এটি আলিয়া ভাট এবং রাম চরণের মতো বলিউড এবং টলিউডের বড় তারকারা প্রচার করেছিলেন। এই বিজ্ঞাপনটিতে 300 কোটি টাকা খরচ হয় এবং এটি 2000 কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে। এর পরে ফ্রুটি খুব বিখ্যাত হয়ে ওঠে এবং সব বয়সের মানুষ এটি পছন্দ করতে শুরু করেন। নাদিয়ার কঠোর পরিশ্রমের কারণে, Frooti কোম্পানির জন্য একটি বিশাল ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে, যার মূল্য আজ 8000 কোটি টাকা।

Nadia Chauhan

অ্যাপি ফিজ: ভারতীয় বাজারে নতুন বিপ্লব
2005 সালে, নাদিয়া অ্যাপি ফিজ চালু করেন, ভারতের প্রথম আপেল জুস। তখন ভারতে এমন রস ছিল না। অ্যাপি ফিজের প্যাকেজিং, স্বাদ এবং বিজ্ঞাপন এটিকে খুব জনপ্রিয় করে তুলেছে। এই পণ্যটি 99% মার্কেট শেয়ার পেয়েছে এবং প্রতি বছর 36% বৃদ্ধিও দিয়েছে। এটি তরুণ দর্শকদের মধ্যে বেশ বিখ্যাত হয়ে ওঠে, যা কোম্পানিটিকে একটি নতুন পরিচয় দেয়। এটি পারলে এগ্রোকে আরও সাফল্য এনে দেয় এবং ফ্রুটির উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেয়। নাদিয়ার এই ধারণা খুবই সফল প্রমাণিত হয়।

Nadia Chauhan Frooti

নাদিয়ার ভাবনা: নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
নাদিয়া দ্রুত বুঝতে পেরেছিল যে শুধুমাত্র একটি পণ্যের উপর নির্ভর করা ঠিক নয়। তাই, তিনি বেইলিসের মতো নতুন পণ্যও চালু করেছেন, যা আজ ₹ 1000 কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। তিনি পণ্যের মান এবং প্যাকেজিংয়ের দিকে মনোযোগ দেন। তার চিন্তা কোম্পানির জন্য খুবই উপকারী ছিল এবং পার্লে এগ্রো একটি শক্তিশালী পরিচয় পেয়েছিল। নাদিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য হল পার্লে এগ্রোকে 20,000 কোটি টাকার কোম্পানিতে পরিণত করা। তিনি নতুন পণ্য এবং ডিজিটাল বিপণনে ফোকাস করছেন। নাদিয়ার স্বপ্ন যে পার্লে অ্যাগ্রো শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বে একটি বড় নাম হয়ে উঠুক। তার পরিশ্রম ও চিন্তায় এই স্বপ্ন পূরণ হবে।