Submarine vs Fighter Jet: দেশের নিরাপত্তার জন্য সাবমেরিন এবং যুদ্ধবিমান উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রযুক্তি এবং কাঠামোর কারণে, সাবমেরিনগুলি সাধারণত তৈরি এবং পরিচালনা করা বেশি ব্যয়বহুল। এগুলোর দাম নির্ভর করে এগুলোর ব্যবহার এবং বৈশিষ্ট্যের উপর।
প্রতি বছর ১১ এপ্রিল আমেরিকা এবং অন্যান্য অনেক দেশে ‘জাতীয় সাবমেরিন দিবস’ পালিত হয়। এই দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল সামুদ্রিক নিরাপত্তায় সাবমেরিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা দেখানো। এমন পরিস্থিতিতে, মনে একটা প্রশ্ন আসে যে সাবমেরিন এবং যুদ্ধবিমানের মধ্যে কোনটি তৈরি করতে বেশি খরচ হয়?
সাবমেরিনগুলি দীর্ঘ সময় ধরে জলের নীচে থাকার এবং শত্রুর উপর নজর রাখার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এতে সোনার সিস্টেম, টর্পেডো লঞ্চার এবং পারমাণবিক শক্তির মতো বিশেষ প্রযুক্তিও স্থাপন করা হয়েছে। এই কারণেই তাদের খরচ বেশি এবং পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরিতে সর্বাধিক ব্যয় হয়।
যুদ্ধবিমানগুলি আকাশে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার জন্য তৈরি। এগুলিতে স্টিলথ বৈশিষ্ট্য, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং উচ্চ-গতির ইঞ্জিন রয়েছে। F-35 এর মতো একটি উন্নত যুদ্ধবিমানের দাম কয়েকশ মিলিয়ন ডলার, যা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অস্ত্রগুলির মধ্যে একটি করে তোলে।
যদি আমরা এই দুটির তুলনা করি, তাহলে একটি সাধারণ সাবমেরিনের দাম কয়েক বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে, যেখানে একটি উন্নত যুদ্ধবিমানের দামও একই সীমার মধ্যে। কিন্তু পারমাণবিক সাবমেরিনের দাম বেশি কারণ তাদের প্রযুক্তি এবং পরিচালনা উভয়ই ব্যয়বহুল।
সাবমেরিন এবং যুদ্ধবিমান তৈরির পর, এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণেও অনেক খরচ হয়। সমুদ্রে দীর্ঘ সময় ধরে সাবমেরিনগুলিকে সচল রাখার জন্য ভারী রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। একই সাথে, যুদ্ধবিমানের সময়মত পরিষেবা, যন্ত্রাংশ এবং জ্বালানিরও প্রয়োজন হয়, যা খরচ আরও বাড়িয়ে দেয়।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের প্রতিরক্ষা বাজেটে সাবমেরিন এবং যুদ্ধবিমান উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি দেশের শক্তি কেবল তার সেনাবাহিনী দ্বারা নয়, বরং তার কাছে থাকা আধুনিক অস্ত্র দ্বারাও পরিমাপ করা হয় এবং এই কারণেই তাদের পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়।