সমুদ্রে ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) শক্তি বাড়তে চলেছে। কালভরি ক্লাসের পঞ্চম সাবমেরিন আইএনএস ভাগির ২৩ জানুয়ারি নৌবাহিনীতে যোগ দেবে। এই সাবমেরিনটি সম্পূর্ণরূপে ভারতে তৈরি এবং এটি মুম্বইয়ের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড তৈরি করেছে৷ এতে ভারতীয় নৌবাহিনীকে সাহায্য করেছে ফরাসি কোম্পানি নেভাল গ্রুপ।
কমান্ডিং অফিসার দিবাকর এস বলেছেন, আইএনএস ভাগির উপকূলের পাশাপাশি মধ্য সাগরেও মোতায়েন করা যেতে পারে এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর সমস্ত প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম। তিনি বলেছেন, এটি স্বনির্ভর ভারত গড়ার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি জানান, এই সাবমেরিনের বেশির ভাগ ট্রায়াল হয়েছে।
INS Vagir-এর সাহায্যে নৌবাহিনী সাবমেরিন-বিরোধী যুদ্ধ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সমুদ্রে ল্যান্ডমাইন বিছানো এবং নজরদারির কাজে অনেক সাহায্য পাবে। এই সাবমেরিনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল জুলাই ২০০৯ সালে এবং নভেম্বর ২০২০-এ নাম দেওয়া হয়েছিল ভাগির। এই সাবমেরিনে উন্নত অ্যাকোস্টিক অ্যাবজর্পশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই প্রযুক্তিতে তৈরি এই সাবমেরিন রেকর্ড সময়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।
ডিজেল বৈদ্যুতিক শ্রেণীর সাবমেরিন INS Vagir দৈর্ঘ্যে ২২১ ফুট এবং প্রস্থে ৪০ ফুট। এতে চারটি শক্তিশালী ইঞ্জিন রয়েছে। এটি সমুদ্রের অভ্যন্তরে ৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা সর্বোচ্চ গতিতে চলতে পারে এবং সমুদ্রের পৃষ্ঠে একবারে ১২ হাজার কিলোমিটার ভ্রমণ করতে পারে। একই সময়ে, সমুদ্রের মধ্যে, এটি একবারে এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এই সাবমেরিন সমুদ্রের সর্বোচ্চ ৩৫০ মিটার গভীরে যেতে পারে এবং একটানা ৫০ দিন সমুদ্রের নিচে থাকতে পারে।
আইএনএস ভাগিরকে নীরব ঘাতক বললে ভুল হবে না৷ কারণ এই সাবমেরিনটি খুব শান্তভাবে তার মিশনটি সম্পাদন করে। এছাড়াও, এটি স্টিলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত, যার কারণে এটি সহজে রাডারে ধরা পড়ে না। আইএনএস ভাগির আধুনিক নেভিগেশন এবং ট্র্যাকিং প্রযুক্তিতে সজ্জিত। এই সাবমেরিনে ৫৩৩ মিলিমিটারের ৮টি টর্পেডো টিউব রয়েছে, যাতে ১৮টি টর্পেডো মিসাইল লোড করা যায়। এটি সাবমেরিন অ্যান্টি-শিপ মিসাইল দিয়েও সজ্জিত। এই সাবমেরিনের গুণাগুণ দেখে একে ‘স্যান্ড শার্ক’ও বলা হয়।