লালুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সুভাষ, ভোটের আগে চাপে আরজেডি

বিধানসভা নির্বাচন সামনেই, তার আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেন তারই শ্যালক সুভাষ যাদব। সুভাষ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন লালু যাদব সরকারি বাংলোয়…

বিধানসভা নির্বাচন সামনেই, তার আগেই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুললেন তারই শ্যালক সুভাষ যাদব। সুভাষ বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন লালু যাদব সরকারি বাংলোয় বসেই তোলাবাজি, অপহরণের মতো অপরাধের ছক কষতেন। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তার দুই শ্যালক সুভাষ যাদব ও সাধু যাদবের বিরুদ্ধে প্রচুর ডাকাতি, তোলাবাজি ও অরাজকতার অভিযোগ ওঠে। অসাংবিধানিক কাজে ক্ষমতার মূল কেন্দ্রে চলে এসেছিলো এই দুই নাম। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এসবের তোয়াক্কা করেননি বরং সেগুলি দিনের পর দিন প্রশ্রয় দেন।

একটা সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে লালু, দুই শ্যালককে আরজেডি থেকে বহিস্কার করেন। এবার সেই সুভাষ যাদবই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। তিনি স্পষ্ট জানান সরকারি বাংলোতে বসে অসামাজিক কাজের ছক কষতেন লালু। কখন কাকে অপহরণ করা হবে কত মুক্তিপণ চাওয়া হবে তাতেও তার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। এই মন্তব্যে কার্যত ভোটের আগে অস্বস্তিতে পড়েছে আরজেডি। আরজেডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে ভোটের আগে দল কে চাপে ফেলতে এটি বিজেপির একটি চক্রান্ত।

   

বারে বারে নতুন নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে খাটতে হয়েছে জেল। সুভাষ যাদব আরো বলেন তার নামে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি হলে তিনিও লালুর মতো জেল খাটতেন। তার নাম জড়িয়েছে ফডার স্ক্যামেও যাতে অভিযোগ ছিল তিনি সরকারি কর্মচারীদের কাজে লাগিয়ে মিথ্যা খরচের প্রতিবেদন জমা দিয়ে ছোট বড় আত্মসাৎ করেছেন। তবে মন্ত্রিত্ব না থাকলেও বিহারে তার যথেষ্ট প্রভাব আছে একথা অনেকেই স্বীকার করেন। সুভাষ যাদবের এই মন্তব্যে নতুন করে আবার বিতর্ক তৈরী হয়েছে , কার্যত ভোটের আগে এই ধরণের মন্তব্য আরজেডিকে বেশ চাপেই রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।