স্কুলে সেলফি তুলতে বাধা দেওয়ায় আত্মহত্যা ছাত্রের

স্কুলে সেলফি তুলতে বাধা দেওয়ায় আত্মহত্যা ছাত্রের (Student Suicide)। মধ্যপ্রদেশের খারগোনে ঐতিহাসিক স্থান জাম গেট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। তার…

Student Suicide

short-samachar

স্কুলে সেলফি তুলতে বাধা দেওয়ায় আত্মহত্যা ছাত্রের (Student Suicide)। মধ্যপ্রদেশের খারগোনে ঐতিহাসিক স্থান জাম গেট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। তার মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং ক্যাম্পাসে সেলফি (Selfie) তোলার চেষ্টায় আপত্তি (Ban) জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

   

মন্ডলেশ্বর এলাকার গুলওয়াদের সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১৭ বছর বয়সী আদিবাসী ছাত্র রাজ ওসারি বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর বিকেলে আত্মহত্যা করে। খারগোনের জেলার পুলিশ সুপার ধর্মরাজ মীনা বলেন, “রাজ জ্যাম গেট থেকে লাফ মারেন এবং খাদে পরে যায়। যখন তিনি লাফ দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন তার আত্মীয়রা এবং ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে তা করতে বারণ করেন। কিন্তু ওই ছাত্র তাদের কথা না শুনে এই পদক্ষেপ নেন।”

আধিকারিক বলেন তাকে মন্ডলেশ্বরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মন্ডলেশ্বর এলাকার কাকদ খোদরি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। যখন মৃতের কাকা জিতেন্দ্র ওসারি পুলিশের কাছে তার বিবৃতিতে বলেন, হোস্টেল সুপার প্রকাশ গিরওয়াল তাকে ফোন করেছিলেন এবং স্কুলে রাজের মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে স্কুলের অধ্যক্ষ কেসি সান্দ বুধবার স্কুলে রাজের সেলফি তোলার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। এতে রাজ আত্মহত্যা বা স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।

তার আত্মীয় কৃষ্ণা এবং তার ছেলে গণেশ স্কুলে তার সাথে দেখা করতে এলে রাজ পালিয়ে যায়। সবাই তাকে খুঁজতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাজ পরে স্কুলে আসে এবং হোস্টেল সুপার সাথে সাথে তার পরিবারকে জানায়। তিনি জানান, রাত সাড়ে ৯টায় তারা আবার হোস্টেলে পৌঁছান, কিন্তু রাজ হোস্টেলের সীমানার পাঁচিলে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি জানান, গভীর রাতে আবার স্কুলে আসেন এবং বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর সকালে টিফিন করে হোস্টেল থেকে পালিয়ে যান। প্রিন্সিপাল স্টাফদের তাকে ধরতে বললেও তারা তা করতে পারেনি। ঘটনাস্থল থেকে তার মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। এসপি বলেন, এখন পর্যন্ত তদন্তের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের সদস্যদের তিরস্কারের ভয়ে তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে তিনি জানান, ঘটনার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকায় পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখছে।