কফ সিরাপের পরীক্ষা নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কড়া নির্দেশ

নয়াদিল্লি: কফ সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে প্রায় ২০ শিশুর মৃত্যুর পর এবার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কড়া নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতর। যেকোনো প্রকার ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের…

নয়াদিল্লি: কফ সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে প্রায় ২০ শিশুর মৃত্যুর পর এবার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কড়া নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতর। যেকোনো প্রকার ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় মধ্যপ্রদেশে আরও ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে শিশুদের দেওয়া কফ সিরাপ থেকেই বিষক্রিয়া ধরা পড়েছে।

Advertisements

৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওই কফ সিরাপগুলি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। নিয়ন্ত্রক জোর দিয়ে বলেছে যে নির্মাতাদের অবশ্যই ওষুধের নিয়মবিধি মেনে চলতে হবে। কাঁচামাল এবং তৈরি পণ্য উভয়েরই পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাচ পরীক্ষা করতে হবে এবং শুধুমাত্র অনুমোদিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে উপাদান সংগ্রহ করতে হবে। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায় শিশুদের মৃত্যুর জন্য Coldrif কফ সিরাপকে (Cough Syrup) দায়ী করা হয়েছে। ওই সিরাপে ডাইথিলিন গ্লাইকল (DEG) অনুমোদিত সীমার থেকে প্রায় ৫০০ গুন বেশি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।

বিজ্ঞাপন

তামিলনাড়ুর ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা শ্রিসান ফার্মার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ পারভিন সোনি। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ওষুধ পরিদর্শক গৌরব শর্মা (ছিন্দওয়ারা) এবং শরদ কুমার জৈন (জব্বলপুর), খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের উপ-পরিচালক শোভিত কোষ্টকে বরখাস্ত করার ঘোষণা করেছেন।

পাশাপাশি ওষুধ নিয়ন্ত্রক দীনেশ মৌর্যকে বদলি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে শিশুদের খাওয়ানো ১৯টি সিরাপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১০টি নমুনার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে নয়টি মান পূরণ করেছে এবং একটি নিম্নমানের পাওয়া গেছে।

শ্রিসান ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশান

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে কফ সিরাপ (Cough Syrup) খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় যখন তোলপাড় সমগ্র দেশ তখন, ছিন্দওয়াড়ায় চিকিৎসকের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশান। কফ সিরাপ খেয়ে মৃত্যুর জন্য চিকিৎসক সোনি নন, বরং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা শ্রিসান ফার্মাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন IMA-এর রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ ডঃ দীলিপ ভানুশালী।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও বিষাক্ত ওষুধ বিক্রির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ভারতে কীভাবে ওষুধ তৈরির অনুমতি পেল শ্রিসান ফার্মা? বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই নিরিখে ড্রাগ কন্ট্রোলার, সরকারকেও দুষেছেন IMA-এর রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ ডঃ দীলিপ ভানুশালী।