শ্রীনগর: শ্রীনগরের নওগাঁও পুলিশ স্টেশনে শুক্রবার গভীর রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, এতে অন্তত ৯ জন নিহত এবং ২৫-এর বেশি আহত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিস্ফোরণ ঘটে তখন পুলিশ ও ফরেনসিক দল ফারিদাবাদ থেকে আনা সন্ত্রাসী মডিউল সংক্রান্ত বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ স্টেশনে আগুন এবং ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর, এখনও কিছু লোক নিখোঁজ। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
দুই সম্ভাব্য কারণ
পুলিশ সূত্র জানায়, বিস্ফোরণের পেছনে দুইটি সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। এক, আমোনিয়াম নাইট্রেট সিল করার সময় অগ্নি সংযোগ ঘটেছে। দুই, এটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা। তদন্তকারীরা আরও যাচাই করছেন স্টেশনের প্রাঙ্গণে পাওয়া একটি গাড়ি আইইডি দ্বারা সজ্জিত ছিল কি না। জাইশ-ই-মহম্মদ-সংক্রান্ত ছায়া সংগঠন PAFF দায় স্বীকার করেছে, তবে এটি যাচাইাধীন।
নিরাপত্তা জোরদার ও প্রশাসনের তৎপরতা Srinagar Nowgam Police Station Blast
বিস্ফোরণের পর নিরাপত্তা বাহিনী এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি চালিয়েছে। ডেপুটি কমিশনার শ্রীনগর অক্ষয় লাবরু হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
৩৫০ কেজি বিস্ফোরক মূলত ফারিদাবাদের ডঃ মুজ্জামিল গণাইয়ের ভাড়া করা বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এর আগে, দিল্লির রেড ফোর্ট এলাকায় গাড়ি বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হওয়ার পর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।
সন্ত্রাসী মডিউল ও গ্রেফতার অভিযান
মিড-অক্টোবর থেকে নওগাঁওয়ে হুমকিস্বরূপ পোস্টার প্রকাশিত হওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়। সিসিটিভি বিশ্লেষণে তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা গ্রেফতার হন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাক্তন প্যারামেডিক মাওলভি ইরফান আহমদের নাম আসে, যিনি চিকিৎসকদের উগ্রপন্থায় প্রভাবিত করেছিলেন।
এ অনুসন্ধান ফারিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়, যেখানে ডঃ মুজ্জামিল গণাই ও ডঃ শাহিন সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়। সন্দেহভাজনদের ভাড়া করা কক্ষে বিশাল পরিমাণে বিস্ফোরক ও রাসায়নিক উদ্ধার করা হয়।
নওগাঁওয়ের বিস্ফোরণ ও দিল্লির রেড ফোর্ট হামলার ঘটনায় গোটা দেশ শোক ও আতঙ্কে রয়েছে। তদন্তকারীরা যাচাই করছেন, দুই ঘটনায় কোনও সমন্বিত সন্ত্রাসী ছক রয়েছে কি না।


