প্রতিভা চাই! প্রবাসী মেধাবীদের ভারতে ডাকছেন জোহো কর্ণধার

sridhar-vembu-zoho-indian-diaspora-return-to-india

নয়াদিল্লি: জোহো কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও শ্রীধর ভেম্বু ভারতীয় প্রবাসীদের দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন, বলেছেন, ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে এখন তার সবচেয়ে মেধাবী মনের প্রয়োজন। পশ্চিমা অর্থনীতিতে অভিবাসীদের আর্থিক অবদানের নতুন তথ্যের প্রতিক্রিয়ায় ভেম্বু বলেন, ভারতীয় প্রতিভা বিদেশে উন্নতি করলেও, এখন সেই দক্ষতা দেশে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে।

Advertisements

অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল ডি মার্টিনোর শেয়ার করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতীয় অভিবাসী ও তাদের বংশধররা গড়ে ৩০ বছরে মার্কিন ফেডারেল বাজেটে ১.৭ মিলিয়ন ডলার অবদান রাখে, যা সব অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই তথ্যের প্রতিক্রিয়ায় ভেম্বু এক্স-এ লিখেছেন, “ভারতীয় অভিবাসীরা তাদের আতিথেয় দেশে সবচেয়ে বেশি আর্থিক অবদান রাখে।

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র কোন দেশের কাছে আছে

ভারত তার সেরা প্রতিভা পাঠিয়েছে।”তিনি পরবর্তী প্রজন্মের ভারতীয় বংশোদ্ভূত পেশাদারদের বিদেশের পরিবর্তে ভারতে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার আহ্বান জানান। তিনি লিখেছেন, “আমি আশা করি, পরবর্তী প্রজন্মে ভারত তার সেরা প্রতিভাকে ধরে রাখবে। ভারতের উচিত যারা চলে গেছে, তাদের কিছু প্রতিভাকে ফিরিয়ে আনা।

অভিবাসীদের দৃষ্টিকোণ থেকে, যেখানে আপনাকে স্বাগত জানানো হয় না, সেখানে কেন থাকবেন? ভারত মাতা আপনাকে চায়, আপনার প্রয়োজন এবং আপনাকে স্বাগত জানায়! ঘরে ফিরে আসুন, আসুন একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তুলি।” ভেম্বুর এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে সমর্থক ও সমালোচক উভয়ের মতামতই প্রকাশ পাচ্ছে।

Advertisements

ভেম্বুর আহ্বান অনেকের সমর্থন পেয়েছে। ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের কারণে দেশ এখন বৈশ্বিক প্রতিভা শোষণের জন্য প্রস্তুত বলে অনেকে মনে করেন। এক্স-এ একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ভারতকে বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ এখন প্রচুর। সঠিক ইকোসিস্টেম ও সুযোগ থাকলে অনেকে আনন্দের সঙ্গে দেশে ফিরে তাদের জন্মভূমির জন্য অবদান রাখবে।”

আরেকজন লিখেছেন, “শ্রীধর ভেম্বুর মতো মানুষকে দেখে অনুপ্রেরণা নেওয়া উচিত। তারা ফিরে এসে যেখানে ইচ্ছা বসবাস করতে পারে। আমাদের অবকাঠামো ক্রমশ উন্নত হচ্ছে, শীঘ্রই বিশ্বমানের হবে।” ভেম্বু নিজে চেন্নাই থেকে তামিলনাড়ুর তেনকাসি জেলায় জোহোর সদর দপ্তর স্থানান্তর করে গ্রামীণ উন্নয়ন ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন, যা অনেকের কাছে প্রেরণাদায়ক।

তবে, অনেকে বিপরীত মতও প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, প্রতিভাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতকে পরিকাঠামোগত ঘাটতি, আয়ের বৈষম্য এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আবেগের ডাকে ফিরে আসা যায়, কিন্তু থাকতে হলে বাস্তবসম্মত পরিবেশ দরকার। আমলাতন্ত্র, দূষণ, দুর্বল পরিকাঠামো দূর না করলে প্রতিভা আবার চলে যাবে।

দেশপ্রেম ফিরিয়ে আনতে পারে, কিন্তু থাকার জন্য নীতি প্রয়োজন।” আরেকজন লিখেছেন, “অনেকে বিদেশে গিয়েছেন কারণ সেখানে প্রতিভা শুধু কাজ করে না, উন্নতি করে। ভারতে কাজের চাপ বেশি, জীবনযাত্রার মান কম। তবে, এটি ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে।” এই মতামতগুলো ভারতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ দুটোই তুলে ধরেছে।