ট্রেন দুর্ঘটনা রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ রেল বোর্ডের

গত কয়েক বছরে একাধিক রেলের দুর্ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে রেলবোর্ড (Railway Board)। দুর্ঘটনার (accidents) কারণ খুঁজতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে আধিকারিকদের। যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি রেল কর্মীদের…

Kanchanjunga Express Accident report commisioner of railway sefty

গত কয়েক বছরে একাধিক রেলের দুর্ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে রেলবোর্ড (Railway Board)। দুর্ঘটনার (accidents) কারণ খুঁজতে কার্যত হিমশিম খেতে হয়েছে আধিকারিকদের। যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি রেল কর্মীদের গাফিলতি? কি কারণে একাধিকবার দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে ভারতীয় রেল তা জানতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ রেল বোর্ডের। সারা দেশের সবকটি জনি ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি শুরু করল রেল। পূর্ব রেল শহর দেশের সব কটি শাখায় চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে জানিয়েছে রেল বোর্ড।

রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান (Railway Board Chairman) সতীশ কুমার (Satish Kumar) জানিয়েছেন ডেটা লগার যন্ত্রের মাধ্যমে দৈনিক ভিত্তিতে রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হবে। নির্দিষ্ট জুনের আয়তনে থাকা ডিভিশনকে ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সেখানে কোন অস্বাভাবিকতা চোখে পড়লে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগনালিন ব্যবস্থা ট্রেন চলাচলের যাবতীয় খুঁটিনাটি রিপোর্ট সেখানে উল্লেখ থাকবে।

যেকোনো রেল দুর্ঘটনার পরেই স্টেশন মাস্টারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই স্টেশন মাস্টাররা দায়িত্ব সহকারে তাদের কর্তব্য পালন করছে কিনা তা দেখতে তৎপর রেল বোর্ড। স্টেশন মাস্টারের ভুলে একই লাইনে দুটি ট্রেন এসে পড়েছে কিনা তার ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হবে। ট্রেন চলাচল ব্যবস্থার উপর নজরদারি করার ক্ষেত্রে স্টেশন মাস্টাররা উপযুক্ত সতর্কতা বজায় রাখছেন কি না, তা দেখতেই ডেটা লগার রিপোর্ট সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। মেন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের সময় পাশে লুপ লাইনে থাকা মালগাড়ি অথবা ট্রেন সবুজ সংকেত পাচ্ছে কিনা তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হবে। শুধু তাই নয় সংশ্লিষ্ট ডিভিশন রিপোর্ট খতিয়ে দিচ্ছে কিনা তা জানতে যে কোন সময় ওই রিপোর্ট চেয়ে পাঠাতে পারে রেল বোর্ড।

Advertisements

তবে নজরদারি এড়াতে রেল বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের পর উঠছে একাধিক প্রশ্ন। বর্তমানে স্টেশন মাস্টার সহ রেল সুরক্ষা বিভাগে অত্যন্ত কুড়ি শতাংশ তথা খালি রয়েছে। ফলে নিয়োগ না হওয়ায় অস্বাভাবিক চাপ বেড়েছে কর্মীদের। আধিকারিক একাংশের মতে যে কারণেই এই ভুল ভ্রান্তির ঘটনা ঘটছে। তাই নিয়োগ না করে আদৌ নজরদারি বাড়ালে কতটা ফল মিলবে সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।