Tripura: মহারাজের ভরসায় মানিকের টার্গেটে মমতার বঙ্গবাসী

উত্তর পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা (Tripura)। বাঙালি প্রধান এই রাজ্যের আয়ের বড় ভরসা পর্যটন (Tripura tourism)। তবে পর্যটক কি শুধু বাঙালিই হতে হবে? ভারতের অন্য রাজ্যের…

Sourav Ganguly Shines in Tripura Tourism

উত্তর পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরা (Tripura)। বাঙালি প্রধান এই রাজ্যের আয়ের বড় ভরসা পর্যটন (Tripura tourism)। তবে পর্যটক কি শুধু বাঙালিই হতে হবে? ভারতের অন্য রাজ্যের বা অন্য ভাষার পর্যটক কি ত্রিপুরার দরকার নেই? এমনই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ত্রিপুরা সরকারের প্রকাশিত পর্যটনের বিজ্ঞাপন।

গত বছরের শেষের দিক থেকে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সম্প্রতি বাংলার দাদাকে দেখা গিয়েছে ত্রিপুরার পর্যটন নিয়ে প্রচার ভিডিওতে। কখনও ছবিমুড়া, কখনও উজ্জয়ন্ত প্যালেস তো কখনও ডুম্বুর লেক। ত্রিপুরার বিভিন্ন পর্যটনক্ষেত্র নিয়ে প্রচার করছেন সৌরভ। ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে পর্যটনক্ষেত্র সম্পর্কে বর্ণনা করছেন মাহারাজ।

   

এই সবই হচ্ছে বাংলা ভাষায়। প্রতি ভিডিওর শেষে সৌরভ বলছেন, ‘কবে আসছেন ত্রিপুরায়?’ একদম খাঁটি বাংলায় এবং বাঙালিয়ানায় আহ্বান। এ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। ত্রিপুরার প্রচার শুধু বাংলায় কেন? হিন্দি বলয় কিংবা দক্ষিণ ভারতের পর্যটক কি ত্রিপুরার দরকার নেই? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তো জাতীয় আইকন। তাঁকে দিয়ে তো বিভিন্ন ভাষায় প্রচার করালে আখেরে ত্রিপুরার লাভই হবে। সেটা কেন হচ্ছে না?

অনেকেরই প্রশ্ন, বাঙালি প্রধান রাজ্য বলেই কী শুধু বাংলায় প্রচার? টার্গেট পশ্চিমবঙ্গের পর্যটক। ত্রিপুরাক এক সরকারি অফিসারের মতে, ‘ত্রিপুরা নিয়ে ভারতের সব প্রান্তের বাঙালির একটা আবেগ আছে। অসম কিংবা মেঘালয়ের বাঙালিরাও ত্রিপুরাকে ভালোবাসেন। বাংলাদেশের পর্যটকদেরও ত্রিপুরা খুব প্রিয়। সব দিক মাথায় রেখেই প্রচার করা হচ্ছে।’ প্রয়োজনে অন্য ভাষাতেও পর্যটনের প্রচার ভিডিও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই অফিসার।

ত্রিপুরার বাঙালিদের ভাষার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের ভাষার বিস্তর ফারাক আছে। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণমূলক বক্তব্যে ত্রিপুরার স্বর নেই। একদম কলকাতাইয়া বাঙালির স্বরে বেহালার ছেলেটা কথা বলছেন। আপাতত এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ ত্রিপুরা। দাদা জানতে চেয়েছেন, কবে আসছেন ত্রিপুরায়? তারিখ নিয়ে ত্রিপুরার মাথা ব্যথা নেই। তারা জানতে চায়, কত জন আসছেন ত্রিপুরায়।