ভিতরে জেরা। বাইরে কংগ্রেস বিক্ষোভ। ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতির মামলায় (National Herald Case) ইডি দফতরে টানা সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে জেরা হলো কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। আগামী দুই, তিন দিনের মধ্যে ফের তাঁকে তলব করা হতে পারে এমনটাই ইডি সূত্রে খবর।
এদিন সোনিয়া গান্ধীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ৫ জন অফিসার। প্রায় ৫০ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল সোনিয়া গান্ধীকে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে মানা হয়েছিল সমস্ত কোভিড বিধি। সোনিয়া গান্ধীর অসুবিধার জন্য ইডির দফতরে ছিলেন কন্যা প্রিয়াঙ্কা।
জেরা শুরুর পর থেকে কংগ্রেস সমর্থকদের বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হতেই পুলিশ জলকামান ছোঁড়ে। দেশজুড়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভ শুরু হয়। সংসদের ভিতরেও একই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী সাংসদরা।
২০০৮ সালে প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায় ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল হেরাল্ডের। সেই অবস্থায় সংস্থাটি সোনিয়াদের সংস্থা ইয়ং ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে বলে অভিযোগ। ফলে সংস্থাটির কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ার দখলে আসে। ন্যাশনাল হেরাল্ডের ঘাড়ে ৯০ কোটি টাকা দেনা চাপে। ২০১৩ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ন্যাশনাল হেরাল্ড আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে দিল্লির এক আদালতে সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদপত্রটি অধিগ্রহণের সময় আর্থিক বেনিয়ম হয়েছিল বলে অভযোগ করেন তিনি।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে নতুন করে মামলা শুরু হয়। ট্রায়াল কোর্টে স্বামীর দায়ের করা মামলায় সোনিয়া-রাহুলদের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা বেনিয়মের অভিযোগ করা হয়। সেই মামলায় তলব করা হলো সোনিয়া গান্ধীকে।