সোনার বাংলা বিতর্ক: ২০১৪-র ব্রিগেডের জনসভা উল্লেখ করে তোপ দাগল তৃণমূল!

কলকাতা: বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়ে দেশদ্রোহী হয়েছেন আশিতিপর কংগ্রেস নেতা। বিজেপি (BJP) শাসিত অসমে বিভূতিভূষণ দাসের নামে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা’ দায়ের করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। অপরাধ, বর্তমানে ‘শত্রু’ দেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন তিনি! কিন্তু ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের আবহে লিখেছিলেন রবি ঠাকুর। ১৯৭২-এ মুক্তিযুদ্ধের পর তা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়।

Advertisements

কংগ্রেস আগে থেকেই দাবী করে আসছে, গান্তি আগে রবীন্দ্রসঙ্গীত তার পরে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। সেই রবীন্দ্রসঙ্গীতই তো ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের ময়দানে বঙ্গবাসীকে সম্বোধন করতে উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! হিমন্তের দাবী ও যুক্তি অনুযায়ী তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বিরুদ্ধেও ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’-এর অভিযোগ আনা উচিৎ বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

   

https://x.com/AITCofficial/status/1984568324102230063

শনিবার তৃণমূলের তরফে এক্সে একটি পোস্ট করা হয়, “৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪-তে ফিরে তাকান: কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে উচ্ছ্বসিত জনতার সামনে হেঁটে হেঁটে মোদী নিজেই “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি” গানটি গেয়েছিলেন। মাছ ধরার মত সেবার বাঙালি ভোট ধরতে এসেছিলেন তিনি। হিমন্তের উদ্ভট যুক্তি অনুসারে ভারতের মাটিতে “শত্রু” সঙ্গীত গাওয়ার জন্য মোদীর বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা উচিত ছিল।”

Advertisements

হিমন্তের যুক্তি

প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের সোমবার বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বাঙালি প্রধান শ্রীভূমি জেলার বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা বিভূতিভূষণ দাস দলীয় বৈঠকে ‘আমার সোনার বাংলা’ গান। যার ফলে বিজেপি শাসিত অসমে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মার রোষের মুখে পড়েন ওই কংগ্রেস নেতা সহ উপস্থিত সকলে। তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন হিমন্ত।

তাঁর দাবী, সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস পাকিস্তান সেনাকর্তার হাতে একটি বই তুলে দিয়েছেন। সেখানে বাংলাদেশের একটি প্রচ্ছদ মানচিত্রে ভারতের উত্তর-পূর্বকে নিজেদের অংশ বলে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এই আবহে কংগ্রেস নেতার গলায় ‘সোনার বাংলা’ শুনে চটে গিয়েছেন হিমন্ত শর্মা।