ধর্মস্থলে মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধারের (Skeletons recovered at dharmasthala) ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে। ৩১ জুলাই, ৫০ বছর বয়সী অভিযোগকারীর চিহ্নিত ১৩টি স্থানের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে খনন চালিয়ে বিশেষ তদন্ত দল (SIT) আংশিক মানব কঙ্কালের অবশেষ উদ্ধার করেছে। অভিযোগকারী দাবি করেছেন, ধর্মস্থলে অবৈধভাবে দেহ সমাহিত করা হয়েছে।
এসআইটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই স্থানে কোনও খুলি পাওয়া যায়নি, তবে প্রায় ১৫টি হাড় উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি ভাঙা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফরেনসিক ডাক্তার প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, হাড়গুলি একজন পুরুষের হতে পারে। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার পরই নিশ্চিত মতামত জানানো হবে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও অপরাধ তদন্ত কর্মকর্তারা দেহাংশের সঠিক অবস্থান ও উদ্ধার প্রক্রিয়া নথিবদ্ধ করে হাড়গুলি জড়ো করেছেন। এসময় পুত্তুর মহকুমার সহকারী কমিশনার স্টেলা ভার্গিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগকারী একজন প্রাক্তন স্যানিটেশন কর্মী, যিনি ১৯৯৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১০০ টিরও বেশি মৃতদেহ কবরের বিষয়ে SIT-এর কাছে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। ২৮ জুলাই, SIT অভিযোগকারীকে ধর্মস্থলের স্নানঘাটে নিয়ে যায় যেখানে তিনি ১৩টি কথিত সমাধিস্থলের তালিকা তৈরি করেন।
২৯ জুলাই থেকে খনন কাজ শুরু হয়। ৩০ জুলাই পর্যন্ত পাঁচটি স্থানে খনন হলেও কোনও দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি। ষষ্ঠ স্থানে, যা নেত্রবতী নদীর তীরে বনাঞ্চলে অবস্থিত, ৩১ জুলাই সকাল থেকে খনন শুরু হলে কঙ্কাল উদ্ধার হয়।
এর আগে, প্রথম স্থানে খননের সময় একজন মহিলার নামে একটি ডেবিট কার্ড এবং সুরেশ নামে এক পুরুষের প্যান কার্ড উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলার নেলামঙ্গলা তালুকের বাসিন্দা সুরেশ ২০২৫ সালের মার্চে জন্ডিসে মারা গিয়েছিলেন এবং তার শেষকৃত্য গ্রামেই সম্পন্ন হয়। SIT মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কর্মকর্তাদের ধারণা, মৃত ব্যক্তি মদ্যপ ছিল। মৃত্যুর আগে ধর্মস্থলে আসার সময় তিনি প্যান কার্ড হারান।
তবে ওই মহিলার ডেবিট কার্ড সম্পর্কিত তদন্ত এখনও চলছে। SIT কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ ও ক্রস-ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।