পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের হামিদপুর কানোরা এলাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে এলপিজি গ্যাস (LPG tanker explodes) ভর্তি একটি ট্যাংকার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে একজন নাবালক সহ ৩১ জন আহত হয়েছেন বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, অগ্নিনির্বাপণে দশটিরও বেশি দমকলের চেষ্টায় এবং অগ্নি নির্বাপক পদার্থ ব্যবহার করে কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সোমবার সংঘটিত ট্যাংকার বিস্ফোরণটির ফলে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়, ফলে ধ্বংসাবশেষের অংশ আশেপাশের আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছে সেখানকার স্থানীয় সংবাদ সংস্থা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে ও দুইজন মহিলাও রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও, পরবর্তীতে উদ্ধারকর্মীরা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাড়ি থেকে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের স্থানের আশেপাশের কমপক্ষে ২০টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৭০টিরও বেশি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও, মুলতানের পুলিশ অফিসার সাদিক আলী জিও নিউজকে জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংস সহ আগুনে একাধিক গবাদি পশু অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আসঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শিল্প এলাকায় পার্ক করা ট্রাকের ট্যাংকারের একটি ভালভ থেকে গ্যাস (LPG tanker explodes) লিক হচ্ছিল। এলাকায় উপস্থিত কয়েকজন ব্যক্তি গ্যাসের গন্ধ পেয়ে আগেই স্থান ত্যাগ করেছিলেন, এরপর ট্যাংকারটি বিস্ফোরিত হয়।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পার্শ্ববর্তী এলাকায় অনুসন্ধান অভিযান চলছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এলাকায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে, তবে মুলতান-মুজাফফরগড় সড়ক পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে পুলিশ জানিয়েছে যে, বিস্ফোরণের স্থানটি একটি অবৈধ এলপিজি রিফিলিং গুদাম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং বিস্ফোরণটি রিফিলিং কার্যক্রমের সময় ঘটেছিল। তারা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি বড় গ্যাস থেকে ছোট বাণিজ্যিক সিলিন্ডারে এলপিজি স্থানান্তর করা হচ্ছিল।