মোদীকে নকল করে বিধ্বস্ত পাসরুর সেনানিবাস সফর শেহবাজের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (modi) পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের একদিন পর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার (১৪ মে) সিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে সফর করেন। এই…

shehbaz sharif imitates modi

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (modi) পাঞ্জাবের আদমপুর বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের একদিন পর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বুধবার (১৪ মে) সিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে সফর করেন। এই সফরে তিনি ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে অংশগ্রহণকারী সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন।

পাসরুর সেনানিবাস

পাসরুর সেনানিবাস, যা পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোর থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরের’-এর সময় নিশানায় ছিল। এই অভিযানে পাসরুর এবং সিয়ালকোট বিমান ঘাঁটির রাডার স্থাপনাগুলি নির্ভুল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ব্যাপক ক্ষতি করা হয়।

   

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী (modi)

প্রধানমন্ত্রীর (modi) কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, শরিফ পাসরুর সেনানিবাসে সংঘাতে অংশ নেওয়া সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি তাদের সাহস ও দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশংসা করেন। আগামী দিনে শরিফ পাকিস্তান বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিভিন্ন বিমান ঘাঁটি এবং নৌ ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন বলেও জানানো হয়েছে।

এই সফরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিধু, ফেডারেল মন্ত্রী আহসান ইকবাল, আত্তাউল্লাহ তারার, সিয়ালকোটের কর্পস কমান্ডার এবং অন্যান্য সিনিয়র সামরিক ও বেসামরিক নেতৃবৃন্দ।

টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম অলরাউন্ডার হিসাবে ইতিহাস গড়লেন রবীন্দ্র জাডেজা

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পটভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ

এই সফর ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (modi) পটভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ। ৬ ও ৭ মে মধ্যরাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যাতে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি নিহত হয়। এই অভিযান পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে শুরু করা হয়েছিল, যেখানে ২২ এপ্রিল ২৬ জন নিরীহ মানুষ, বেশিরভাগই পর্যটক, নিহত হন।

পাকিস্তান এই অভিযানের জবাবে ৮, ৯ এবং ১০ মে ভারতের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার চেষ্টা করে, যার ফলে জম্মু ও অমৃতসর-সহ বেশ কয়েকটি শহরে ব্ল্যাকআউট এবং এয়ার সাইরেন বাজানো হয়। এই সংঘাত দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পূর্ণ-মাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করে। ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের রফিকি, মুরিদ, চকলালা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর এবং চুনিয়ানের মতো সামরিক স্থাপনাগুলিতে তীব্র পাল্টা আঘাত হানে।

১০ মে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ‘যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করেন। তবে, ভারত এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, নয়া দিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে যেকোনো বিষয় দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করা হবে।

পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন

‘অপারেশন সিঁদুর ’-এর পর সোমবার (১২ মে) জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (modi) পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারত পারমাণবিক হুমকির কাছে মাথা নত করবে না। তিনি বিশ্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেন যে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে বাণিজ্য বা আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা কেবল সন্ত্রাসবাদ এবং পিওকে-র ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে হবে।

শরিফের এই সফর তুরস্ক ও আজারবাইজানের (modi) পাকিস্তানের প্রতি সমর্থনের পটভূমিতে আরও তাৎপর্যপূর্ণ। তুরস্ক ভারতের অভিযানের নিন্দা করে পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং পহেলগাঁও হামলার আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তাব সমর্থন করেছে। এর ফলে ভারতে তুরস্ক ও আজারবাইজানের পণ্য ও পর্যটন বয়কটের ডাক উঠেছে। ইজমাইট্রিপ এবং মেকমাইট্রিপের মতো ভ্রমণ প্ল্যাটফর্মগুলি এই দেশগুলিতে বুকিংয়ে উল্লেখযোগ্য হ্রাস এবং বাতিলের কথা জানিয়েছে।

খাজা আসিফ দাবি করেছেন

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী (modi) খাজা আসিফ দাবি করেছেন, পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় ড্রোন আটকায়নি, যাতে তাদের কৌশলগত সামরিক স্থান গোপন থাকে। তবে, এই দাবি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।

শরিফের পাসরুর সফর পাকিস্তানের সামরিক মনোবল বাড়ানোর প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, ভারতের দৃঢ় অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলির কাছ থেকে, পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

এই সংঘাতের পর ভারত ৭০টি দেশের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেদের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (modi) সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং দিয়েছে, যেখানে চীন ও তুরস্ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই ঘটনা ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার শূন্য সহনশীলতার নীতিকে পুনরায় নিশ্চিত করে।