আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজিল ইমাম (Sharjeel Imam)। দিল্লির তিহার জেলে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি থাকা এই ছাত্রনেতা কিষাণগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দিল্লি হিংসার মামলায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন এবং তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তিনি এখন আদালতের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছেন।
শারজিল ইমামের রাজনৈতিক যাত্রা বেশ আলোচিত এবং বিতর্কিত। ২০১৯ সালে, ভারতীয় ছাত্র আন্দোলনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সময় তিনি একাধিক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন, যা পরবর্তীতে দিল্লি হিংসার মামলার অন্যতম মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। শারজিলের বক্তব্য এবং তার রাজনৈতিক কার্যক্রম অনেকেরই সমালোচনার মুখে পড়েছিল, বিশেষত তার কাশ্মীর প্রসঙ্গ এবং সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় দেওয়া বক্তৃতা নিয়ে।
তবে, শারজিল ইমাম তার রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন এবং সে কারণেই তিনি নিজেকে জনগণের কাছে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরেছেন। এখন, যখন বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধিতাও বাড়ছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন যে, তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি বিহারের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
শারজিল ইমামের বিরোধীরা তাকে ভারতের শত্রু বলে আখ্যায়িত করেছেন, আবার তার সমর্থকরা তাকে ভারতীয় মুসলিম সমাজের একজন প্রতিনিধি হিসেবে দেখেন। তার রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও, তার মতো একজন বিতর্কিত নেতা যখন নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান, তখন সাধারণ ভোটারের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়।