নয়ডা: গ্রেটার নয়ডার শারদা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বিডিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল কক্ষে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে সোমবার সকালে (Sharda University Student Suicide)। পুলিশি তৎপরতায় মেলে একটি সুইসাইড নোট, যেখানে সরাসরি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হেনস্তা, অপমান ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি।
শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই অপদস্থ করছিল
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর অভিযোগ ‘পিসিপি’ (PCP) ও ‘ডেন্টাল ম্যাটেরিয়ালস’-এর শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে অপদস্থ করে আসছিলেন। সুইসাইড নোটে ছাত্রীটি স্পষ্টভাবে লেখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য ওঁরাই দায়ী। এই চাপ ও অপমান সহ্য করা যাচ্ছিল না।” মৃত্যুর পর তাঁর অনুরোধ, যেন অভিযুক্তরা উপযুক্ত শাস্তি পান।
হোস্টেল থেকেই দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই হোস্টেল চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। সহপাঠীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান, দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হন। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর তাদের সঙ্গে পড়ুয়াদের বাকবিতণ্ডাও হয়।
থানায় লিখিত অভিযোগ
ছাত্রীটির পরিবারের তরফ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে দ্রুত তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (গ্রেটার নয়ডা) সুধীর কুমার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন
ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি আসেনি। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা, মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
পুনরাবৃত্তি আতঙ্ক
এই ঘটনা আরও শোরগোল ফেলে দিয়েছে, কারণ ক’দিন আগেই ওড়িশার বালাসোরে হেনস্তার শিকার হয়ে আগুনে আত্মাহুতি দেন এক কলেজ পড়ুয়া। সেখানেও শিক্ষকের নাম উঠে এসেছিল। পরপর এমন ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে মানসিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার চিত্র ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে।