পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের আগে হাই-ভোল্টেজ ভাষণে মঞ্চ কাঁপালেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রবিবার বিহারের সাসারামের জনসভায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের কড়া অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “শক্তিপীঠের এই ভূমিতে সন্ত্রাসবাদীরা যদি গুলি চালায়, আমরা তার জবাব গোলায় দেব”।
এরপর ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রচার করে শাহ বলেন, “আপনারা কি জানেন, এই গোলা কোথায় তৈরি হবে? এই বিহারের মাটিতে নরেন্দ্র মোদী ডিফেন্স করিডোর এবং অস্ত্র কারখানা তৈরি করতে চলেছেন”। এরপরেই প্রত্যাশিতভাবেই কংগ্রেস সরকারের তুলোধোনা করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, “সোনিয়া, মনমোহন, লালুরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, সন্ত্রাসবাদীরা (Terrorists) চুপিসারে ঢুকে আমাদের মাটিতে হত্যালিলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে। কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর উরি হামলার জবাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, পুলওয়ামা হামলার জবাবে এয়ারস্ট্রাইক করে দেখিয়েছেন”। এইসঙ্গে সম্প্রতি পহেলগাম হামলার কথা তুলে ধরতেও ভোলেননি শাহ। ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিকের হত্যার জবাব অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
“অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে যাত্রা করেছেন রাহুল-তেজস্বী”
এরপরেই সাসারামের জনসভা থেকে আগস্ট মাসে ১৬ দিন ব্যাপী রাহুল-তেজস্বীর ভোটার অধিকার যাত্রা (Voter Adhikar Yatra) নিয়েও কটাক্ষ ছোঁড়েন অমিত শাহ। অভিযোগ করেন, “অনুপ্রবেশকারীদের (Infiltrators) বাঁচাতে যাত্রা করেছেন রাহুল গান্ধী ও লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব।”
কটাক্ষের সুর চড়িয়ে শাহ আরও বলেন, “অনুপ্রবেশকারীরা বিহারের যুবকদের কাজ ছিনিয়ে নিচ্ছে, গরিব্দের রেশন নিয়ে নিচ্ছে, দেশের জন্য এরা বিপজ্জনক। অনুপ্রবেশকারীদের কি দেশের থাকা উচিৎ?”
প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বর বিহারে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় ‘গণতন্ত্রের উৎসবে’ মেতে উঠবেন বিহারের মানুষ। প্রথম দফায় ১৮ টি জেলার ১২১ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন। হয়েছে। বাকি ১২২ টি আসনে ভোটগ্রহণ ১১ নভেম্বর। যার ফলাফল ঘোষিত হবে ১৪ নভেম্বর।
