নয়াদিল্লি: লালকেল্লা বিস্ফোরণ কান্ডে (Delhi Red Fort Blast) উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। ৪৮ ঘণ্টা পর ঘটনাকে “সন্ত্রাসবাদী হামলা” তকমা দিয়েছে সাউথ ব্লক। অভিযুক্ত মুজাম্মিল ও শাহিনের সঙ্গে দাফতরিক সম্পর্ক ছাড়া আর কোনও যোগ নেই বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গা ঝাড়া দিলেও তদন্তের আওতায় রয়েছে ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় (Al Falah University)।
এবার আল ফালাহ গ্রুপের দুটি কলেজের বিরুদ্ধে জারি হল নোটিশ। জানা গিয়েছে, মেয়াদ-উত্তীর্ণ স্বীকৃতি পত্র ব্যবহার করছিল বিশ্ববিদ্যালয় দুটি। কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করল NAAC। প্রসঙ্গত, আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আল-ফালাহ স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং আল-ফালাহ স্কুল অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং-এর জন্য NAAC কর্তৃক ‘A’ রেটিং উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে যে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটিকে ২০১৩ সালে ‘এ’ গ্রেড দেওয়া হয়েছিল এবং এই গ্রেড ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈধ ছিল। শিক্ষক শিক্ষা বিভাগকে ২০১১ সালে ‘এ’ গ্রেড দেওয়া হয়েছিল এবং এটি ২০১৬ সাল পর্যন্ত বৈধ ছিল।
“উপরোক্ত দুটি কলেজের স্বীকৃতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। উপরোক্ত দুটি কলেজই এখনও NAAC-এর সাইকেল-২ মূল্যায়ন এবং স্বীকৃতি (A&A) প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেয়নি,” নোটিশে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জারি করা নোটিশে আগামী ৭ দিন্মের মধ্যে আল ফালাহর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। নোটিশটিতে NAAC-এর পরিচালক গণেশন কান্নাবীরন স্বাক্ষর করেছেন।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার ফরিদাবাদের ধৌযে ২০১৪ সালে স্থাপিত হয় আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার পরের বছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে স্বীকৃতি দেয় উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়টি আল-ফালাহ (Al Falah University) চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অধীনে পড়ে। ১৯৯৫ সালে এই ট্রাস্ট গঠিত হয়েছিল এবং ১৯৯৭ সালে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চালু করে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চিকিৎসা বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, মানবিকতা, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং শিক্ষা সহ অন্যান্য বিষয়ের কোর্স প্রদানকারী স্কুল রয়েছে।
জঙ্গি-যোগে গ্রেফতার দুই চিকিৎসক
দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণ কান্ডে তদন্তকারীদের র্যাডারে আল ফালাহ (Al Falah University)মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের তিন চিকিৎসক। যাঁদের মধ্যে উমর নবীর ওই বিস্ফরনেই মৃত্যু হয়। ডঃ মুজাম্মিল এবং ডঃ শাহিনের সঙ্গে ঘটনার যোগসূত্র মেলায় গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলেই থাকতেন উমর নবী। তবে এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন মুজাম্মিল।


