ফের কাঠগড়ায় সেবি প্রধান, দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেসের নিশানায় মাধবী

ফের বিতর্কের কেন্দ্রে সেবি (SEBI) প্রধান মাধবী পুরী বুচ। মুম্বাইয়ের একটি সংস্থা থেকে লাগাতার বেআইনি রোজগার করেছেন তিনি। শুক্রবার এমন অভিযোগ তুলে সরব হল কংগ্রেস।…

Madhabi-Buch

ফের বিতর্কের কেন্দ্রে সেবি (SEBI) প্রধান মাধবী পুরী বুচ। মুম্বাইয়ের একটি সংস্থা থেকে লাগাতার বেআইনি রোজগার করেছেন তিনি। শুক্রবার এমন অভিযোগ তুলে সরব হল কংগ্রেস। এমন অভিযোগ সামনে আসায় কার্যত শোরগোল পড়ে যায় ঘরোয়া রাজনীতিতে।

আদানীর (Adani) বিভিন্ন সংস্থায় দেশ-বিদেশে তাঁর বিপুল শেয়ার রয়েছে। গত অগস্টে জাতীয় আার্থিক প্রতিষ্ঠান সেবি প্রধান মাধবী পুরি বুচের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছিল মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ।

   

এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, “এটা শুধু স্বার্থের সংঘাত নয়, বহিরাগত দুর্নীতির মামলা।” এমনকি, এটা কি নৈতিক ও বৈধ বলেও প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। খেরা জানান, গত ২০১৮-১৯ সালে বুচ তাঁর মুম্বাইয়ের ৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ‘কারল ইনফো সার্ভিস লিমিটেড’ নামের একটি সংস্থাকে ভাড়া দিয়েছিলেন। তখন তিনি সেবি’র পূর্ণসময়ের একজন সদস্য ছিলেন। আইনমাফিক যা মোটেই বৈধ নয়।

ওয়াকহার্ট লিমিটেড নামের একটি সংস্থার অধীনস্থ এই কারল ইনফো। মজার বিষয়, এই দুই কোম্পানির প্রোমোটার একজন ব্যক্তিই। যার তদন্তভার ছিল সেবি’র হাতে। খেরার এও দাবি করেন, বুচ নাকি ২০১৮-২৪ -এর মধ্যে ওই সংস্থার থেকে মোট ২.১৬ কোটি টাকা পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের সময় নির্বচনী বন্ড কাণ্ডে সেবির আদালতের পাশাপাশি সেবির দ্বারস্থও হয়েছিল বিরোধীরা। একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্বাচনে আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সেবির আওতায় এনে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়। তখনও মাধবী পুরির সম্পর্কে এমন তথ্য বেফাঁস করেনি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। এবার প্রকাশ্যে আসায় মোদী সরকারকে আরও চাপে পড়তে হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিকে গতবছর আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। যারফলে এক ঝটকায় তলানিতে নেমে যায় আদানির দর। বিশ্বের সেরা পাঁচ ধনীর তালিকা থেকেও ছিটকে যান তিনি। এবার ফের হিন্ডেনবার্গের হামলা মোদী-শাহরা কীভাবে সামলান সেটাই দেখার।