বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের ইয়াদগির জেলায় এক সরকারি আবাসিক স্কুলে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নবম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলের শৌচাগারেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটলেও বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ্যে আসে। বর্তমানে মা ও নবজাতক দু’জনেই সুস্থ এবং শাহাপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে উঠেছে বড় প্রশ্ন। কর্নাটক রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্য শশীধর কোসাম্বে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ সময়মতো কমিশনকে খবর জানাতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার নিয়মিত পরীক্ষা করার যে দায়িত্ব স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের ছিল, সেখানে স্পষ্ট গাফিলতি রয়েছে।
শশীধর কোসাম্বে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা বাড়তে দেখছি, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ওই ছাত্রীর প্রতি মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়া উচিত ছিল। দায়িত্বে অবহেলার জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই স্কুলের অধ্যক্ষ ও কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হবে।”
এদিকে ইয়াদগিরি ডিসিপিকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক মামলা রুজুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের কাছে এদিনই একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় স্কুল পরিচালনার গাফিলতি ও কিশোরী ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে প্রশাসন থেকে অভিভাবক সকলেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত নজরদারি ও দায়িত্বশীলতা ছাড়া এ ধরনের ঘটনা রোধ করা কঠিন।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
