জার্মানির ম্যাগডেবার্গ শহরের একটি ক্রিসমাস মার্কেটে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Germany Car Attack) ঘটে। একটি কালো বিএমডব্লিউ গাড়ি (Germany Car Attack) ভিড়ের মধ্যে প্রবেশ করে ৪০০ মিটার দূর পর্যন্ত দ্রুতগতিতে চলতে থাকে, যা অন্তত দুইজনের মৃত্যু এবং প্রায় ৬০ জনের আহত হওয়ার কারণ হয়। নিহতদের (Germany Car Attack) মধ্যে একজন ছোট শিশুও রয়েছে।
জার্মান কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাটিকে (Germany Car Attack) একটি পরিকল্পিত হামলা হিসেবে বিবেচনা করছে। গাড়ির চালক হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তালে আব্দুল্লাহ (Taleb A), যিনি সৌদি আরবের একজন ৫০ বছর বয়সী চিকিৎসক। তালে ২০০৬ সালে জার্মানিতে আসেন এবং ম্যাগডেবার্গের ২৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত একটি ছোট শহরে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন।
এই হামলার পরপরই তাকে ঘটনাস্থলে (Germany Car Attack) আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয় বরং একটি উদ্দেশ্যমূলক আক্রমণ। তবে, এই হামলার পিছনে তার মূল উদ্দেশ্য কী, তা এখনো স্পষ্ট নয়। জার্মানির নিরাপত্তা (Germany Car Attack) বিভাগ এই ঘটনার সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কালো রঙের বিএমডব্লিউটি ক্রিসমাস মার্কেটের ভিড়ের দিকে সোজা গতি করে। স্থানীয় এক জার্মান সম্প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে, গাড়িটি শহরের টাউন হলের দিকে যাচ্ছিল এবং দ্রুতগতিতে চলার সময় ভিড়ের মধ্য দিয়ে চালিয়ে যায়। এই হামলার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ঘটনাটির ভয়াবহতা স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তাদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। ম্যাগডেবার্গের মেয়র এই ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই ঘটনার পর জার্মানির বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ক্রিসমাস মার্কেটগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে পুলিশকে জানাতে বলেছে।
এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় জনগণ এবং ভুক্তভোগী পরিবারগুলো তালে আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। সৌদি আরবের দূতাবাস থেকেও এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে এবং তারা তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।