নির্বাচনী আধিকারিকদের ধমকে ক্ষমতায় বিজেপি, বিস্ফোরক সঞ্জয় রাউত

২৪-এর লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরেও কোন নেতা কতটা আক্রমণাত্মক কথা বলতে পারে তার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন…

২৪-এর লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পরেও কোন নেতা কতটা আক্রমণাত্মক কথা বলতে পারে তার একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) নেতা সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)। কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠন হয়ে যাওয়ার পরেও আজ শুক্রবার তিনি যে মন্তব্য করলেন তা শুনে সকলেই চমকে গিয়েছেন রীতিমতো।

আজ মুম্বাইতে সঞ্জয় রাউত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানালেন। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে জনগণই হল ঈশ্বর। ৩০টিরও বেশি আসন রয়েছে যেখানে বিজেপি হেরেছে, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ভয় দেখিয়ে এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে। বিজেপি একেবারেই হেরেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহ হেরে গিয়েছেন। বারাণসীতে হেরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর দল অযোধ্যা, চিত্রকূট, নাসিক এবং রামেশ্বরমে পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে। ভগবান সব দেখছেন। ভগবান শ্রীরাম যেখানেই রয়েছেন সেখানেই বিজেপি হেরে গেল।’

   

শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন যে এনডিএ শরিক নীতীশ কুমার এবং এন চন্দ্রবাবু নাইডু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দফতর বন্টন নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। সঞ্জয় রাউত এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব্যবহৃত ‘অতৃপ্ত আত্মা’ শব্দটির উল্লেখ করে বলেন, ‘কেন্দ্র ও মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত না করা পর্যন্ত এই অতৃপ্ত আত্মা শান্তি পাবে না।

‘ রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত যদি মনে করেন যে কেন্দ্রের জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকার দেশের স্বার্থে নয়, তবে এটি ফেলে দেওয়া উচিত।

সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘কেন্দ্রে দুই অতৃপ্ত আত্মা রয়েছেন, তাঁরা হলেন নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু। বিজেপির উচিত এই দুই অতৃপ্ত আত্মাকে সন্তুষ্ট করা। যেভাবে দফতরগুলি ভাগ করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে সমস্ত আত্মা অসন্তুষ্ট, বিশেষত এনডিএ শরিকরা।’