অ্যান্টি রোমিও-বুলডোজারে রাজ্য কাঁপাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

samrat-choudhary-anti-romeo-bulldozer-action-bihar

পটনা, ২৫ নভেম্বর: বিহারের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী পদ গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই কড়া রূপ দেখাতে শুরু করেছেন। ‘সুশাসন’ এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির নামে তিনি একের পর এক বিস্ফোরক ঘোষণা দিয়েছেন, যা রাজ্যের অপরাধী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Advertisements

স্কুল-কলেজের আশেপাশে মেয়েদের ছেড়ছাড়ি (হ্যারাসমেন্ট) রোধে অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াড গঠন, আদালতের নির্দেশে অপরাধীদের সম্পত্তিতে বুলডোজার অভিযান, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপশব্দপ্রয়োগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং মাফিয়াদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এই চারটি বড় অস্ত্র দিয়ে তিনি বিহারকে ‘অপরাধমুক্ত’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

   

নতুন রূপে আসছে Maruti Brezza, আবারও টেস্টিংয়ে ধরা পড়ল ফেসলিফ্ট মডেল

এই ঘোষণা শুধু অপরাধীদের নয়, রাজনৈতিক মহলকেও কাঁপিয়েছে, কারণ এতে উত্তরপ্রদেশের যোগী মডেলের ছায়া স্পষ্ট। নিতীশ কুমারের নিয়ন্ত্রণ থেকে ২০ বছর পর গৃহবিভাগ বিজেপির হাতে চলে যাওয়ার এই ঘোষণা বিহারের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় নতুন যুগের সূচনা বলে মনে হচ্ছে।সম্রাট চৌধুরী পদ গ্রহণের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বললেন, “বিহারে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু এখনও অপরাধের ছায়া রয়েছে। আমরা এটাকে সমূলে উপড়ে ফেলব।”

Advertisements

প্রথমে অ্যান্টি-রোমিও স্কোয়াডের কথা তুলে ধরলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মতো এই দলগুলো গঠন করা হবে, যাতে পুলিশের পিঙ্ক মোবাইল টিম মেয়েদের নিরাপত্তায় নজর রাখবে। স্কুল-কলেজের কাছে ‘রোমিও’ বলে পরিচিত ছিন্নপত্রবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “লেখাপড়া করতে যাওয়া ছাত্রীদের ওপর ছেড়ছাড়ি সহ্য করব না। এরা ধরা পড়লে জেলের রাস্তা নিতে হবে,” বলে তিনি সতর্ক করলেন। এই স্কোয়াডে মহিলা পুলিশ অফিসারদের বিশেষ ভূমিকা থাকবে, এবং ২৪ঘণ্টা হেল্পলাইন চালু করা হবে।

বিহারে প্রতি বছর হাজার হাজার মেয়ের বিরুদ্ধে ছেড়ছাড়ির অভিযোগ আসে, যা নারী নিরাপত্তার বড় প্রশ্ন তুলেছে। এই উদ্যোগ নারী সংগঠনগুলোকে খুশি করেছে, কিন্তু কেউ কেউ বলছেন, “এটা শুধু প্রচার নয়, বাস্তবে কাজ করতে হবে।”দ্বিতীয় বড় অস্ত্র হিসেবে বুলডোজারের কথা উল্লেখ করে চৌধুরী বললেন, “অপরাধীদের সম্পত্তিতে আদালতের নির্দেশে বুলডোজার চালানো হবে।

এটা উত্তরপ্রদেশের মডেলের অনুসরণ, কিন্তু বিহারের প্রেক্ষাপটে।” বিহারে মাফিয়া এবং গুণ্ডাদের সম্পত্তি থেকে লুটের অর্থ বের করে সেগুলোকে ধ্বংস করা হবে। এর আগে নিতীশ সরকারও এমন চেষ্টা করেছে, কিন্তু বিজেপির নেতৃত্বে এবার আরও তীব্রতা আসবে বলে মনে হচ্ছে। চৌধুরী স্পষ্ট করলেন, “এটা আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, কোনো অত্যাচার নয়।” এই ঘোষণা শুনে অপরাধী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত কয়েকদিনে পাটনা এবং মুজাফফরপুরে দুটি এনকাউন্টার ঘটেছে, যা এই নতুন নীতির প্রথম সংকেত বলে মনে করা হচ্ছে।