যারা আফগানিস্তান নিয়ে নীরব ছিল তারাই ইউক্রেন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন: জয়শঙ্কর

রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine War) মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে ভারতের কার্যত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি। এবার পশ্চিমী দেশগুলিকে পাল্টা জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী…

রাশিয়া ও ইউক্রেনের (Ukraine War) মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে ভারতের কার্যত নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছে পশ্চিমী দেশগুলি। এবার পশ্চিমী দেশগুলিকে পাল্টা জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাইসিনা ডায়লগ অনুষ্ঠানে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তান-সহ এশিয়ার বেশকিছু দেশের সমস্যা সম্পর্কে চোখ বুজে থেকেছে পশ্চিমী দুনিয়া। এশিয়ার পূর্বাংশে যা ঘটছে সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য ইউক্রেন পরিস্থিতি একটা জেগে ওঠার ডাক। শেষ ১০ বছরে এশিয়ার পরিস্থিতিও কতটা সুরক্ষিত আছে তা ভেবে দেখা দরকার।

রাইসিনা ডায়লগ অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে জয়শংকরের (S Jaishankar) কাছে জানতে চেয়েছিলেন নরওয়ের বিদেশমন্ত্রী অ্যান্নিকেন হুইটফেল্ড। জবাব দিতে গিয়েই জয়শঙ্কর বলেন, ভারত প্রথম থেকেই যুদ্ধ বন্ধের কথা বলে আসছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, কূটনীতি এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা নষ্ট করা কখনওই উচিত নয়। রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

জয়শঙ্কর পশ্চিমী দেশগুলির কড়া জবাব দিয়ে আরও বলেছেন, এখন সকলেই ইউক্রেনের কথা বলছেন। কিন্তু এক বছর আগে আফগানিস্থানে কী হয়েছিল সেটা কারও মনে নেই। তবে কাবুলের ঘটনা আমাদের স্পষ্টভাবেই মনে আছে। একটা দেশের কয়েক কোটি মানুষকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এক অজানা বিপদের মুখে। হঠাৎ করেই মার্কিন সেনা আফগান নাগরিকদের তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠীর হাতে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পরে প্রতিদিনই আফগানিস্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিন্তু তা দেখেও পশ্চিমী দুনিয়ার মুখে একটি কথা নেই।

এশীয় দেশগুলিতেও অনেক সমস্যা আছে। বিশেষ করে আইনের সমস্যা বজায় রাখা এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ এখনও এশিয়ার বহু দেশেই সীমান্ত নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক রয়েছে। অনেক দেশেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর অনেক আগেই এশিয়াতেও অনেক সমস্যা ছিল। কিন্তু সে প্রসঙ্গে পশ্চিমী দেশগুলিকে কোনও কথা বলতে দেখা যায় না। এবার গোটা বিশ্বের উচিত এশিয়ার দেশগুলির প্রতি নজর দেওয়া।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি এক চরম সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। তাই তারা ইউক্রেন নিয়ে এখন অনেক কথা বলছে। ইউক্রেন নিয়ে কথা বলার আগে তাদের সেই অধিকার আছে কিনা সেটা তো ভেবে দেখা দরকার।