দক্ষিণ কোরিয়া শুক্রবার জানিয়েছে যে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য এন্টি-এয়ার মিসাইল (Anti-Air Missiles In Exchange)সরবরাহ করেছে, বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে (Anti-Air Missiles In Exchange) তাদের সৈন্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সহায়ক।
দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিন ওন-সিক এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন যে উত্তর কোরিয়া ১০,০০০ এর বেশি সৈন্য রাশিয়াকে পাঠিয়েছে, যার মাধ্যমে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য নতুন সৈন্য সংগ্রহ করেছে এবং উত্তর কোরিয়া (Anti-Air Missiles In Exchange) প্রযুক্তিগত উন্নতি ও যুদ্ধের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে।
শিন আরো বলেন, “আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল (Anti-Air Missiles In Exchange) সহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে যা পিয়ংইয়ংয়ের দুর্বল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।” তিনি বলেন যে, উত্তর কোরিয়া বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা এবং স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সম্পর্কিত উন্নত গবেষণায়ও বিনিয়োগ করছে, বিশেষ করে ২০২৪ সালের ২৭ মে তারিখে তাদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে (Anti-Air Missiles In Exchange) সৈন্য পাঠানোর মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে, এবং এই পরিস্থিতি তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামরিক (Anti-Air Missiles In Exchange) প্রযুক্তি লাভের সুযোগ এনে দিয়েছে। বিশেষত, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, সাবমেরিন, এবং অন্যান্য উন্নত অস্ত্রশস্ত্রের প্রবাহের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া তাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে চায়।
উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া উভয়ই জাতিসংঘের একাধিক নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন, বিশেষ করে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের জন্য। যদিও রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেছে, কিন্তু এটি স্পষ্ট যে, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এই সময়ে নিজেদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরো জোরদার করছে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সাথে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে, যা অনুযায়ী, উভয় দেশ একে অপরকে আক্রমণের মুখে সামরিক সহায়তা প্রদান করবে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করবে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই চুক্তিকে একটি “বিপ্লবী দলিল” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সামরিক সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী চো সন হুই সম্প্রতি মস্কো সফর করেছেন এবং বলেছেন যে, “আমরা আমাদের রুশ সঙ্গীদের সঙ্গে একসাথে তাদের বিজয় দিবস পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকব।” তিনি মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণকে “পবিত্র সংগ্রাম” বলে অভিহিত করেছেন এবং পুতিনের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই ঘটনা নতুন প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য কিয়েভে অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর দিকে তাদের অবস্থান কী হবে, সে সম্পর্কে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের চিন্তা ও পরিকল্পনা। যদিও দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরে কিয়েভে মারাত্মক অস্ত্র পাঠানোর বিরুদ্ধে ছিল, সম্প্রতি তাদের এই নীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে।