ইউক্রেনের (Ukraine) সঙ্গে চলমান যুদ্ধের কারণে রাশিয়া নানা ধরনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে সংকটময় পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ রাশিয়ার বিভিন্ন খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার প্রভাব পড়েছে দেশটির বিমান চলাচল শিল্পেও। রাশিয়া (Russia) বর্তমানে বিমান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও পরিষেবা পেতে হিমশিম খাচ্ছে, ফলে তাদের অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
India US relation: ব্রিকসের পরই ভারতে ছুটে এলেন মার্কিন এনএসএ, ডোভালের সঙ্গে বৈঠক
এই পরিস্থিতিতে ভারতের কাছে সাহায্য চেয়ে রাশিয়া অনুরোধ জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) বিমান ব্যবহারের।
রাশিয়া চায় যে ভারতীয় বিমান ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে, যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা সচল রাখতে। ভারতের এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে রাশিয়া আশা করছে যে তারা অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান পরিষেবা চালু রাখতে পারবে, যা রাশিয়ান অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ খাত।
আজ তিন ঘণ্টা লেট, নতুন নির্ঘণ্টের সঙ্গেই স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা করল রেল
রাশিয়ার এই অনুরোধ ভারতের জন্য কূটনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভারত রাশিয়ার অন্যতম পুরনো মিত্র হলেও বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারসাম্য রক্ষা করতে হচ্ছে ভারতকে।
অন্যদিকে, এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানও হয়নি এবিষয়। কারণ ভারতের আভ্যন্তরে বিমান চালানোর মতো বিমানের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম। তারমধ্যে রাশিয়াকে বিমান সরবরাহ এই মুহূর্তে সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমা দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শর্ত মানা, এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে রাশিয়াকে সহায়তা করা ভারতের জন্য বেশ কঠিন হতে পারে।
দীপাবলিতে জঙ্গি হামলার ছক? বিপুল গ্রেনেড-রকেটলঞ্চার বাজেয়াপ্ত মণিপুরে
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়ার এই অনুরোধ ভারত-মার্কিন সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে। ভারত কিভাবে রাশিয়াকে সহায়তা করবে এবং সেই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ওপর কেমন প্রভাব পড়বে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে রাশিয়ার এই সহায়তা চাওয়া ও ভারতের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া, বৈশ্বিক রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।