চেন্নাই: তামিলনাড়ুর থাঞ্জাভুর জেলার পঞ্চায়েত প্রধানের অফিসে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ে তিন দুষ্কৃতি। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় পাট্টালি মাক্কাল কাটচি (PMK) নেতা এম এ স্ট্যালিন আত্মরক্ষার জন্য পঞ্চায়েত অফিসের বাথরুমে আত্মগোপন করেন। তিনি বলেন, “অফিসে বোমা ছোঁড়া হলে আমি বাথরুমে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিই। নয়ত প্রাণে বাঁচতাম না”।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ট্যালিনের এক সমর্থক সহ দুই দুষ্কৃতি পঞ্চায়েত অফিসে বোমা ছোঁড়ে। ঘটনায় প্রধানের কোনও ক্ষতি না হলেও অফিসের জানলা এবং ভেতরের কিছু জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পেছনে দুষ্কৃতিদের উদ্দেশ্য এখনও জানা না গেলেও তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। এদিকে, পঞ্চায়েত প্রধানের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে PMK কর্মী-সমর্থকরা।
ঘটনার পেছনে শাসকদল ডিএমকে (DMK)-র বিরুদ্ধে স্লোগান, টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে তাঁরা। শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন PMK নেতা আনবুমানি রামাদোসও। তিনি বলেন, “রাজ্যের শাসকদল আইনশৃঙ্খলাকে নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনকেও নিজেদের পকেটে পুড়ে রেখেছে।”
ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবী জানিয়েছেন তামিলনাড়ু বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি নাইনার নাগেন্দ্রন। তাঁর কটাক্ষ, “দিনেদুপুরে পঞ্চায়েত অফিসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে পালাল কিছু দুষ্কৃতি। এর থেকেই প্রমাণিত, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে”।
অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগকে সম্পূর্ণভাবে খারিজ করে দিয়েছে শাসকদল ডিএমকে। দলের মুখপাত্র ডঃ সৈয়দ হাফিজুল্লা বলেন, “পুলিশের সর্বাধিক প্রচেষ্টার পরেও এই ধরণের ঘটনা ঘটার অর্থই হল, ব্যক্তিগত শুত্রুতা থেকেই কেও এরকম করেছে। ঘটনার পর পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে”।