মাত্র ৪ মাসের মধ্যে শক্তি প্রদর্শন ভারতীয় সেনার নবগঠিত ব্রিগেডের

নয়াদিল্লি, ১০ অক্টোবর: ভারতীয় সেনার (Indian Army) নতুন রুদ্র ব্রিগেড (Rudra Brigade) উত্তর সিকিমের (North Sikkim) উঁচু ও কঠিন পাহাড়ি অঞ্চলে তাদের চমৎকার প্রস্তুতি এবং…

Indian Army Rudra Brigade

নয়াদিল্লি, ১০ অক্টোবর: ভারতীয় সেনার (Indian Army) নতুন রুদ্র ব্রিগেড (Rudra Brigade) উত্তর সিকিমের (North Sikkim) উঁচু ও কঠিন পাহাড়ি অঞ্চলে তাদের চমৎকার প্রস্তুতি এবং শক্তি প্রদর্শন করে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে গঠিত এই ব্রিগেডটি বিভিন্ন সেনা ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত। এই ব্রিগেড দ্রুততা এবং সমন্বয়ের সঙ্গে উচ্চ-উচ্চতা অঞ্চলে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করে। রুদ্র ব্রিগেডের এই সাফল্য দেখায় যে ভারতীয় সেনাবাহিনী ক্রমাগত আরও আধুনিক এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

Advertisements

রুদ্র ব্রিগেড ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি নতুন এবং বিশেষায়িত ইউনিট। এটি কেবল পদাতিক বাহিনীই নয়, ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি, ড্রোন এবং বিশেষ বাহিনী সহ বিভিন্ন ইউনিটকেও একত্রিত করে। এটি কঠিন এবং উচ্চ-উচ্চতার ভূখণ্ডে দ্রুত কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

&nbsp

;

কবে গঠিত হয় এই ইউনিট?
রুদ্র ব্রিগেডের ঘোষণা করা হয়েছিল ২৬ জুলাই, ২০২৫ সালে কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে। সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানান যে এর অনুমোদন একদিন আগে, ২৫ জুলাই, ২০২৫ সালে দেওয়া হয়েছিল।

রুদ্র ব্রিগেড তৈরির পিছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে:

দ্রুত প্রতিক্রিয়া ক্ষমতা বৃদ্ধি করা – যাতে সেনাবাহিনী সীমান্তে যেকোনো হুমকি বা জরুরি অবস্থার সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

টিম ওয়ার্ক এবং সমন্বয় বৃদ্ধি করা — বিভিন্ন ইউনিটকে একসাথে কাজ করতে সক্ষম করে, যুদ্ধের সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পদক্ষেপে বিলম্ব দূর করে।

ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি – আধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন এবং উচ্চ-উচ্চতার অভিযানের কথা মাথায় রেখে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করা।

কার্গিল বিজয় দিবস কী?
সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বকে অভিবাদন জানাতে প্রতি বছর ২৬শে জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস পালিত হয়। এই দিনটি কার্গিলে শহিদ সেনাদের বীরত্বের স্মৃতি স্মরণ করে। ১৯৯৯ সালে, ভারত ও পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিলে একটি যুদ্ধে লিপ্ত হয়, যা পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীদের আমাদের দেশে প্রবেশ এবং দুর্গ স্থাপনের কারণে সংঘটিত হয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী কেবল সেই অনুপ্রবেশকারীদের রোখেনি, বরং পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল যে যদি এমন ঘটনা আবার ঘটে, তাহলে তাদের আরও ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। অতএব, কার্গিল যুদ্ধ ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব ও সাহসের প্রতীক হয়ে ওঠে।