নয়াদিল্লি, ১ অক্টোবর: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (Narendra Modi)-এর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আজ নয়াদিল্লির ড. বি আর আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সমারোহে তিনি আরএসএস-এর ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সংগঠনটির অবদানের কথা তুলে ধরেন।
এছাড়াও, তিনি একটি বিশেষ স্মারক কয়েন এবং একটি স্ট্যাম্প টিকিট উদ্বোধনের ঘোষণা করেন, যা আরএসএস-এর শতবর্ষ এবং ভারত মাতার প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে নির্মিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আরএসএস গত একশো বছর ধরে দেশের সেবায় নিবেদিত রয়েছে। এই সংগঠন শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদের চেতনাকে জাগ্রত করেনি, বরং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার ১৯২৫ সালে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা আজও দেশের তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে। নতুন স্মারক কয়েনটিতে একদিকে আরএসএস-এর প্রতীক এবং অন্যদিকে ভারত মাতার প্রতিকৃতি খোদাই করা হয়েছে। সঙ্গে উদ্বোধন করা হয়েছে একটি স্ট্যাম্প টিকিট, যা আরএসএস-এর শতবর্ষ উদযাপনের স্মরণে প্রকাশিত হয়েছে। এই স্ট্যাম্পে সংগঠনের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আরএসএস-এর সরসঙ্ঘচালক ড. মোহন ভাগবত, যিনি সংগঠনের শতবর্ষী ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “আরএসএস কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল না। আমাদের লক্ষ্য সবসময়ই সমাজকে সংগঠিত করে জাতীয় ঐক্য ও সমৃদ্ধি অর্জন করা।” তিনি আরও জানান যে, শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সারা দেশে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং গ্রামীণ উন্নয়নের উদ্যোগ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এই অনুষ্ঠানে আরএসএস-এর স্বয়ংসেবকদের প্রশংসা করে বলেন, “আপনারা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছেন। মহামারী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জাতীয় সংকটে আরএসএস-এর স্বয়ংসেবকরা সবসময়ই সামনে এসেছেন।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই স্মারক কয়েন ও স্ট্যাম্প ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আরএসএস-এর ত্যাগ ও সেবার গল্প বহন করবে।
উৎসবের আবহে শোকের ছায়া: Cough Syrup খেয়ে ৬ শিশুর মৃত্যু!
অনুষ্ঠানে আরএসএস-এর বিভিন্ন শাখা থেকে আগত স্বয়ংসেবকরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সারা দেশের আরএসএস শাখাগুলিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্মারক কয়েন ও স্ট্যাম্পটি শীঘ্রই জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ হবে বলে জানানো হয়েছে। এই উদ্যোগকে অনেকেই ভারতের সাংস্কৃতিক ও জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন।