কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরবানন্দ সোনোয়াল সম্প্রতি আসামে অনুষ্ঠিত মহাকুম্ভ মেলার প্রশংসা করে বলেছেন, এই মেলা রাজ্যের ধর্মীয় পর্যটনের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি উল্লেখ করেন, মহাকুম্ভ মেলা শুধুমাত্র আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র নয়, এটি আসামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়তা করছে। মহাকুম্ভ মেলা ভারতের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যা প্রতি বারো বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলায় লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী ও পর্যটক সমবেত হন, যা রাজ্যের অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। সরবানন্দ সোনোয়াল বলেন, “মহাকুম্ভ মেলা আসামের ধর্মীয় পর্যটনের বিকাশে গতি সঞ্চার করছে। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার একটি সুযোগ।”
সোনোয়াল আরো বলেন যে তিনি প্রণাম জানান কুন্দিমামা কে যিনি এই মহাকুম্ভে অসমের প্রিতিনিধিত্ব করেছেন। দেওরি সম্প্রদায় অসমের অনেক প্রাচীন একটি সম্প্রদায়। এবার মহাকুম্ভে এই সম্প্রদায়ের ৪০০ বছর পূর্তি হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান তিনি মহাকুম্ভমেলার কাছে কৃতজ্ঞ যে এখানে অসমের ধর্মীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরার সুযোগ দিয়েছে। মহাকুম্ভ মেলা আসামের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন। এই মেলার মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, সঙ্গীত, নৃত্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শিত হয়। সরকারি উদ্যোগে এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সরবানন্দ সোনোয়াল বলেন, “আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আমাদের পরিচয়। মহাকুম্ভ মেলার মাধ্যমে আমরা এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও প্রচার করছি।”
মহাকুম্ভ মেলা রাজ্যের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। স্থানীয় ব্যবসা, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও পরিবহন খাতে মেলার সময় আয় বৃদ্ধি পায়। এছাড়া, হস্তশিল্প ও স্থানীয় পণ্যের বিক্রয়ও বৃদ্ধি পায়, যা স্থানীয় শিল্পীদের আয় বাড়াতে সহায়তা করে। সরবানন্দ সোনোয়াল বলেন, “মহাকুম্ভ মেলা আমাদের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। স্থানীয় ব্যবসা ও শিল্পের বিকাশে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।”