স্বাস্থ্য নিয়ে রাজধানীতে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

rekha-gupta-inaugurates-70-ayushman-arogya-mandirs-delhi-healthcare-initiative

নয়াদিল্লি, ২৫ নভেম্বর: রাজধানীর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নতুন উজ্জ্বলতা দেওয়ার লক্ষ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা আজ ৭০টি নতুন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের উদ্বোধন করলেন। শক্তি নগরসহ রাজধানীর বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা এই সুবিধাগুলোকে জনগণের হাতে সমর্পণ করে তিনি বললেন, “আজ আমরা ৭০টি নতুন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের উদ্বোধন করেছি এবং সেগুলোকে জনগণের সেবায় তুলে ধরেছি।

Advertisements

আমাদের লক্ষ্য দিল্লিতে ১০০০-এর বেশি আরোগ্য মন্দির নির্মাণ করা। দিল্লির মানুষকে অভিনন্দন জানাই; তাদের ভোটের সিদ্ধান্তই এতটা শক্তি দিয়েছে যে, আজ যে কাজের প্রয়োজন, তা দিল্লিতে হচ্ছে।” এই উদ্বোধন শুধু স্বাস্থ্য খাতে একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা নয়, বরং পূর্ববর্তী সরকারের ‘মহল্লা ক্লিনিক’ মডেলের সমালোচনায় রাজনৈতিক ঝড়ও তুলেছে।

   

শপথ গ্রহণ করেই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরগুলো কেন্দ্রীয় আয়ুষ্মান ভারত স্কিমের অংশ, যা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে দরজার কাছে নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করে। প্রতিটি মন্দিরে বিনামূল্যে পরামর্শ, ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা, ওষুধ বিতরণ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকদের সেবা পাওয়া যাবে। সিএম গুপ্তা তার এক্স (পূর্বের টুইটার) হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছেন, “এগুলোর মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে আপনাদের বাড়ির কাছে নিয়ে আসতে চাই।”

Advertisements

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি পূর্ববর্তী আপ-সরকারের মহল্লা ক্লিনিককে কটাক্ষ করে বললেন, “বছরের পর বছর মহল্লা ক্লিনিকের প্রচার চলল, কিন্তু কতজন সত্যিই উপকৃত হল? বড় বড় পোস্টারে ছবি ঝুলিয়ে প্রচার করা হল, কিন্তু তার পিছনে ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই, কর্মী নেই। আজ একবার আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরে ঢুকে দেখুন সেখানে সবকিছু স্বচ্ছ এবং কার্যকর।”

এই উদ্যোগের পটভূমি দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দীর্ঘদিনের সমস্যা। রাজধানীতে জনসংখ্যা ৩ কোটির ওপর, কিন্তু প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অভাবে লোকেরা হাসপাতালের দীর্ঘ লাইনে কষ্ট পায়। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা, জন ঔষধি কেন্দ্র, বয় বন্ধন যোজনা এবং এখন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা দিয়ে সরকার একটা সমন্বিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলছে, যেখানে সকলের অধিকার আছে মানসম্পন্ন চিকিত্সা, সাশ্রয়ী ওষুধ এবং আধুনিক সুবিধার।

গত জুনে তিস হাজারি কোর্ট কমপ্লেক্সে একটি মন্দির উদ্বোধনের সময় সিএম গুপ্তা বলেছিলেন, “এটা দিল্লির স্বাস্থ্য ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে সেরা করার লক্ষ্য।” সেই সময় ৩৩টি মন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল, এবং ১৭টি জন ঔষধি কেন্দ্রও চালু হয়। কেন্দ্র সরকার পূর্ববর্তী সরকারকে ২৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিল ১১০০-এর বেশি মন্দির খোলার জন্য, কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি এই অভিযোগও তিনি তুলেছেন।