ভুয়ো ওয়েবসাইটের বাড়বাড়ন্ত, ডিজিটাল জালিয়াতি রুখতে নতুন ডোমেন আনছে RBI

RBI introduces bank.in domain

নয়াদিল্লি: অনলাইন আর্থিক জালিয়াতির সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে৷ এই অবস্থায় ডিজিটাল সুরক্ষা বাড়াতে নতুন ইন্টারনেট ডোমেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের পর এ কথা ঘোষণা করেন নয়া গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্র। এই এক্সক্লুসিভ ইন্টারনেট ডোমেইনের নাম ‘ডট ব্যাঙ্ক ডট ইন’ (.bank.in) রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisements

আরবিআই-এর মতে, এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং প্রতারণা এবং সাইবার ক্রাইম মোকাবিলা করা অনেকটাই সহজ হবে। ‘bank.in’ ডোমেইনটি ভারতের সকল ব্যাঙ্কের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে। আগামি এপ্রিল মাস থেকেই দেশের প্রতিটি ব্যাঙ্ক তাদের অনলাইন উপস্থিতি এই নতুন ডোমেইনে নিবন্ধিত করতে বাধ্য হবে। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সহজেই বৈধ ব্যাংকিং সাইটগুলো এবং প্রতারণামূলক সাইটগুলো চিহ্নিত করতে পারবেন, যা ডিজিটাল প্রতারণা কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

   

এছাড়া, ‘fin.in’ নামের একটি আলাদা ডোমেইনও আনা হবে, যা নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনান্স কোম্পানি (NBFCs) ও অন্যান্য আর্থিক সেবা প্রদানকারীদের জন্য নির্ধারিত হবে। আরবিআই জানিয়েছে, এই ডোমেইনগুলো চালু করার উদ্দেশ্য হল পুরো আর্থিক খাতের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা।

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর মালহোত্রা বলেন, ‘‘ডিজিটাল জালিয়াতির সূচক বৃদ্ধি সত্যিই উদ্বেগজনক। সমস্ত অংশীদারকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে। অনলাইন প্রতারণা বন্ধ করতেই নতুন ইন্টারনেট ডোমেন আনা হচ্ছে।’’

ডিজিটাল লেনদেনে তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে একাধিক স্তর বৃদ্ধি করে গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষিত করার কথা বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কঠোর ভাবে মানার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।

Advertisements

আরবিআই একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “ব্যাঙ্ক এবং নন-ব্যাঙ্কিং ফাইনান্স কোম্পানিগুলির সাইবার ঝুঁকি কমানোর জন্য তাদের প্রতিরোধমূলক এবং শনাক্তকরণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি, তাদেরকে সাইবার হামলার ক্ষেত্রে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং পুনরুদ্ধারের জন্য শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগগুলি দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির নিরাপত্তা সুরক্ষা বাড়াতে এবং গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে বড় ভূমিকা রাখবে।