AFSPA: বিতর্কিত আইনকে যুক্তিসঙ্গত করতে মরিয়া বিজেপি সরকার

কেন্দ্রীয় সরকারের মাথার উপর এখনো খাঁড়ার মতো ঝুলছে বিতর্কিত আফস্পা আইন। ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে মিলেছিল কেবল কিছু…

AFSPA: বিতর্কিত আইনকে যুক্তিসঙ্গত করতে মরিয়া বিজেপি সরকার

কেন্দ্রীয় সরকারের মাথার উপর এখনো খাঁড়ার মতো ঝুলছে বিতর্কিত আফস্পা আইন। ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে মিলেছিল কেবল কিছু শব্দ মাত্র। কিন্তু উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের অনেকেই চাইছেন আফস্পা আইনের পূর্ণ প্রত্যাহার। সরকার কি শুনবে সেই কথা?

এখনই হয়তো পুরোপুরি তুলে নেওয়া হচ্ছে না বিতর্কিত এই আইন। অন্তত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথায় মিলেছে তেমনি আভাস। রবিবার গুয়াহাটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “অসমের ৫-৬ টি জেলা থেকে ইতিমধ্যে সেনা তুলে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ২০২২ সালে আফস্পা আইনে কিছু সংশোধন করা হতে পারে। যা হবে যুক্তিগ্রাহ্য।”

হিমন্ত জানিয়েছেন, “নাগাল্যান্ডের ঘটনা বিবরণী চেয়ে পুর্ণ রিপোর্ট পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ প্যানেল। ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। কাগজপত্র জমা হওয়ার পর ইতিবাচক দিকে এগোনো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

আফস্পা আইন নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত সম্প্রতি নয়। এই আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলের একাংশে একাধিকবার হয়েছে আলোচনা। তা সত্বেও গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডে আফপ্সার প্রয়োগকাল আরও বৃদ্ধি করে কেন্দ্র। কারণ হিসেবে বলা হয় ‘নাগাল্যান্ডের পরিস্থিতি বিপজ্জনক এবং চিন্তাব্যঞ্জক’।

Advertisements

উল্লেখ্য,৪ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডের মন জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৬ জনের৷ এরপর শুরু হয়েছিল অশান্তি। গ্রামবাসীরাও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বলে খবরে প্রকাশ। মৃত্যু হয় আরও ৮ জন গ্রামবাসীর৷ এক জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।

এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর স্বভাবতই আলোড়িত হয়েছিল দেশ। বিজেপি বিরোধী দলগুলো চাপ বাড়াতে থাকে কেন্দ্রের ওপর। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা-ও বিরোধীতা করেছেন আফস্পা আইনের।