রাজস্থানের পর মধ্যপ্রদেশ, ১৪০ ফুট গভীর কুয়োয় আটকে বালক, চলছে উদ্ধারকাজ

রাজস্থানের (Rajasthan) কোটপুতলির তিন বছরের শিশু চেতনাকে এক সপ্তাহ পরেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শিশুটি কুয়োয় পড়ে যাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারকারীরা তীব্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন,…

Rajasthan child fall into whale getting critical situation to rescue rescue operation continue

রাজস্থানের (Rajasthan) কোটপুতলির তিন বছরের শিশু চেতনাকে এক সপ্তাহ পরেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শিশুটি কুয়োয় পড়ে যাওয়ার পর থেকেই উদ্ধারকারীরা তীব্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনো কোনো সাফল্য আসেনি। ঠিক তারই মাঝে, মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) গুনা জেলার পিপলিয়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় আরেকটি হৃদয়বিদারক কুয়োয় পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। বছর দশেকের সুমিত নামের একটি বালক কুয়োয় পড়ে যায়, এবং বর্তমানে সে ১৪০ ফুট গভীর কুয়োর মধ্যে আটকে আছে।

সতর্কতা জারি: ২০২৫-এর শুরুতেই রাজধানীতে প্রবল শীতের পূর্বাভাস

   

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমিত সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ তার পা ফস্কে কুয়োয় পড়ে যায়। কুয়োটি ছিল খুব গভীর, যার গভীরতা প্রায় ১৪০ ফুট। খবর পাওয়া মাত্রই গুনার জেলাশাসক, পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, সুমিত কুয়োর ৪০ ফুট গভীরে আটকে রয়েছে, যা উদ্ধারের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধারকারীরা নানা পদ্ধতিতে কাজ শুরু করেন। প্রথমে কুয়োর চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। পরে, কুয়োর ভিতরে সুমিতের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তবে, কুয়োর গভীরতা এবং এর সংকীর্ণতা উদ্ধার কাজকে জটিল করে তুলেছে।

বঙ্গে তৃণমূল সরকার গঠনে বড় ভূমিকা ছিল মনমোহন সিংয়ের

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কুয়োর ভিতরে সুমিতের অবস্থান ৪০ ফুট গভীরে, এবং সে কোনোভাবেই আর উঠতে পারছে না। তার শ্বাসপ্রশ্বাসের অবস্থাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকারীরা অত্যন্ত সতর্কভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সুমিতকে নিরাপদে বের করার জন্য বিশেষ সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন, তবে এটি বেশ সময়সাপেক্ষ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই ঘটনার পর স্থানীয় জনগণও উদ্ধার কাজে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। গ্রামের মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং উদ্ধারকারী দল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে একত্রিত হয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে, উদ্ধার কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু আশাবাদী যে, শীঘ্রই বাচ্চাটি নিরাপদে উদ্ধার হবে।

একই সময়ে, রাজস্থানে কোটপুতলির চেতনার উদ্ধার নিয়ে আশাবাদী, তবে দীর্ঘ সময় ধরে উদ্ধার কাজের কোনো ফলাফল না পাওয়ার কারণে, পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁরা সরকারের কাছে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি করেছেন।

দিল্লিতে BS 3 পেট্রোল ও BS 4 ডিজেল গাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত!

এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে যে, কুয়ো এবং অন্যান্য খোলা স্থানে নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের খেলার সময় এই ধরনের বিপদ থেকে তাদের রক্ষা করা প্রয়োজন। প্রশাসন ও সমাজের সকলের উচিত, কুয়ো ও অন্যান্য বিপজ্জনক স্থানগুলোকে সুরক্ষিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

এখন, একদিকে সুমিতের উদ্ধার কাজ চলছে, অন্যদিকে চেতনার পরিবারে অপেক্ষা ও উদ্বেগের মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত এই পরিস্থিতির সমাধান হবে এবং দুই শিশু নিরাপদে ঘরে ফিরবে।