নয়া দিল্লি সহ ৫টি স্টেশনে স্থায়ী হোল্ডিং এরিয়া তৈরি করবে রেল মন্ত্রক

রেল মন্ত্রক পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশনে স্থায়ী হোল্ডিং এরিয়া নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। যার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে নতুন দিল্লি, আনন্দ বিহার, গাজিয়াবাদ, বারাণসী এবং অযোধ্যা স্টেশন। এই…

Railway Minister Ashwini Vaishnaw Criticises Bengal CM Mamata Banerjee in Rajya Sabha

রেল মন্ত্রক পাঁচটি রেলওয়ে স্টেশনে স্থায়ী হোল্ডিং এরিয়া নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। যার মধ্যে অর্ন্তভুক্ত রয়েছে নতুন দিল্লি, আনন্দ বিহার, গাজিয়াবাদ, বারাণসী এবং অযোধ্যা স্টেশন। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রকৌশল পরামর্শক সংস্থা রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস লিমিটেড। যারা স্টেশনগুলির জন্য আধুনিক এবং কার্যকরী হোল্ডিং এরিয়া ডিজাইন করবে।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, “আমরা রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিস লিমিটেড-কে পাঁচটি স্টেশনে স্থায়ী হোল্ডিং এরিয়া ডিজাইন করতে বলেছি। এর মধ্যে রয়েছে নতুন দিল্লি, আনন্দ বিহার, গাজিয়াবাদ, বারাণসী এবং অযোধ্যা স্টেশন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, একবার মডেলটি প্রস্তুত হলে, তা পরবর্তীতে ৬০টি উচ্চ গতি সম্পন্ন যাত্রী প্রবাহে সহায়ক স্টেশনে বিস্তৃত করা হবে।

   

মন্ত্রীর মতে, এই হোল্ডিং এরিয়াগুলি ‘অমৃত স্টেশন পুনর্বিকাশ কর্মসূচি’র আওতায় নির্মিত হবে। যেখানে স্টেশনগুলিকে আধুনিক বিশ্বমানের যাত্রী সুবিধা দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারণ নয়া দিল্লির স্টেশনে ১৮ জন যাত্রীর মৃত্যু এবং বহু আহত হওয়ার ঘটনায় গত শনিবার রাতের পদপিষ্টের পর।

Advertisements

বর্তমানে রেল মন্ত্রক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে ৬০টি স্টেশনে স্থায়ী হোল্ডিং এরিয়া তৈরি করা হচ্ছে। যেগুলি বেশি যাত্রী সমাগমের সম্মুখীন। এছাড়া সব অননুমোদিত প্রবেশ পথ বন্ধ করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

৬০টি স্টেশন চিহ্নিত করা হয়েছে

অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, “৬০টি স্টেশন চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত অধিক যাত্রীসমাগম হয়। এসব স্টেশনে হোল্ডিং এরিয়া নির্মাণ করা হবে, যাতে যাত্রীদের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই স্টেশনগুলির মধ্যে রয়েছে নতুন দিল্লি, পাটনা, সুরত, বেঙ্গালুরু, কোয়েম্বাটোর এবং আরও অনেকগুলি রয়েছে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, “যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করানোর সময়সূচী অনুযায়ী তাদের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যাতে স্টেশনগুলির অভ্যন্তরে ভিড় না হয়।”

এছাড়া পবিত্র কুম্ভ মেলার সময়ে প্রয়াগরাজের স্টেশনগুলিতে যেভাবে যাত্রীদের প্রবাহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়েছে, সেভাবেই এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট ম্যানুয়াল এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর তৈরি করা হবে
রেলমন্ত্রী এর মতে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট ম্যানুয়াল তৈরি করবে, যা সমস্ত প্রয়োজনীয় নিয়মাবলি একত্রিত করে তৈরি হবে। এতে বিশেষ পরিস্থিতি, যেমন ধর্মীয় উৎসব এবং বিশেষ সফরের সময়, যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
“আমরা একটি সমন্বিত ম্যানুয়াল তৈরি করব, যা ভবিষ্যতে যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু প্রবাহ নিশ্চিত করবে”।

এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে, রেল মন্ত্রক যাত্রীদের জন্য আরও সুরক্ষিত এবং সুগম ভ্রমণ পরিবেশ তৈরি করতে চায়, বিশেষ করে সেই সমস্ত স্টেশনগুলোতে, যেগুলি প্রচুর যাত্রী সমাগমের সম্মুখীন হয়।

অযোধ্যা, বারাণসী এবং প্রয়াগরাজের মতো ধর্মীয় স্থানগুলিতে যাত্রীদের জন্য এই পদক্ষেপগুলি বিশেষ গুরুত্ব ধারণ করছে। যেখানে ধর্মীয় উপলক্ষে প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী আসেন।