নয়াদিল্লি: ভারতের তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেনারেশন-জেড, এবার রাহুল গান্ধীর রাজনীতির কেন্দ্রে। সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা ফের নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ শানালেন। দাবি করলেন, ভোটার তালিকায় বিপুল কারচুপির তৃতীয় দফার ‘প্রমাণ’ তাঁর হাতে এসেছে। আর সেই কারচুপির বলি হচ্ছেন দেশের যুবসমাজ— যাদের ভবিষ্যৎ, তাঁর ভাষায়, “চুরি হয়ে যাচ্ছে।”
রাহুলের অভিযোগ, হরিয়ানা ও বিহারে, যেখানে একদিকে কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত, অন্যদিকে বিজেপি-জেডিইউ জোটের বিরুদ্ধে লড়ছে— সেখানে লাখ লাখ ভোটার নাম মুছে ফেলা হয়েছে বা ভুয়ো ভোটার যোগ করা হয়েছে বিজেপির সুবিধার জন্য।
তরুণদের উদ্দেশে রাহুলের বার্তা
সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই রাহুল বলেন, “আমি চাই ভারতের জেনারেশন-জেড এটা গুরুত্ব দিয়ে নিক। কারণ তোমাদের ভবিষ্যৎ তোমাদের থেকেই ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তোমরাই সেই প্রজন্ম, যাদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি কিছু কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।” তাঁর উপস্থাপনার শেষ স্লাইডে লেখা ছিল, “ভারতের জেনারেশন-জেড ও যুবসমাজই সত্য ও অহিংসার পথে আমাদের গণতন্ত্রকে পুনর্গঠন করতে পারে।”
প্রতিবেশী দেশের উদাহরণ টেনে নতুন বার্তা Rahul’s big youth push to change system
বিশ্লেষকদের মতে, রাহুলের এই ভাষণ শুধু অভিযোগ নয়, তরুণ ভোটারদের সঙ্গে একটি বৃহত্তর সংলাপের চেষ্টা। বেকারত্ব, দুর্নীতি, এবং সামাজিক বৈষম্যের মতো প্রশ্নে যুবসমাজের ক্ষোভকে তিনি গণতন্ত্র রক্ষার অস্ত্রে পরিণত করতে চাইছেন।
নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, প্রতিবেশী দেশগুলিতে সম্প্রতি যুবনেতৃত্বাধীন আন্দোলন ও রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই “জেনারেশন-জেড” শব্দটি ভারতের রাজনৈতিক অভিধানে নতুন মাত্রা পেয়েছে। লাদাখের তরুণ আন্দোলনও সেই ধারারই অংশ।
রাহুলের বক্তব্য, “এই প্রজন্মই সত্য ও ন্যায়বোধের মাধ্যমে ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আজ তাদের দায়িত্ব গণতন্ত্রকে বাঁচানো।”


