সবেমাত্র সংসদের বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। আর তার মধ্যেই খেলেন বড় বড়সড় ধাক্কা। বিরোধী দলনেতার পদে আর থাকা হবে না তাহলে রাহুলের (Rahul Gandhi)? এমনকী সাংসদ পদও যেতে পারে হাতছাড়া হয়ে? রায়বেরেলির সাংসদের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপরে।
জানা যাচ্ছে যে এলাহাবাদ হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে করা এই জনস্বার্থ মামলার মূল বক্তব্যই হলো রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ভারতীয় নাগরিকই নন। আবেদনকারীর বক্তব্য রাহুল ব্রিটিশ নাগরিক। আর তাই ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্রিটিশ নাগরিকের যেহেতু ভারতবর্ষে নির্বাচনের অংশগ্রহণের অধিকার নেই, তাই বাতিল করা হোক রাহুলের সাংসদ পদ। তবে রাহুলের চিন্তা বাড়িয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মামলাটি গ্রহণ করেছে, খুব শীঘ্রই এর শুনানিও শুরু হতে চলেছে।
এই মন্ত্রীর গাড়ির লালবাতি কেড়ে মন্ত্রিত্বে লালবাতি জ্বালাবেন মমতা?
এর আগে এই এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশেই সাংসদ পদ বাতিল হয়ে গিয়েছিল রাহুলের ঠাকুরমা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। তিনিও এই রায়বেরেলির সাংসদ হিসাবেই সংসদে গিয়েছিলেন। হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এলাহাবাদ হাইকোর্ট নির্বাচনী প্রচারে সরকারি ক্ষমতা এবং প্রভাবের অপব্যবহারের অভিযোগকে সীলমোহর দিয়ে ১৯৭৫ ইন্দিরার সাংসদ পদ বাতিল করে। ‘Representation of the People Act, 1951’ অনুযায়ী সাংসদ পদ বাতিল হয়েছিল ইন্দিরারা। তারপরই দেশে শুরু হয় সেই ঐতিহাসিক ইমার্জেন্সি পর্ব।
এবার রাহুলের ক্ষেত্রেও কী সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি হবে। যদিও কংগ্রেস নেতাদের সাফ বক্তব্য, এই ধরনের মামলার সাধারণত করা হয় যাতে আবেদনকারীরা বা কোন সংগঠন প্রচারের আলোয় আসতে পারেন। তাছাড়া রাহুল গান্ধী পরপর তিনবারে নির্বাচিত সংসদ। ২০২৪ এ কেরালার ওয়াড়নার এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি, দুই জায়গা থেকেই তিনি জিতেছেন। এতদিন ধরে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলল না, অথচ এখন কেন রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সেই নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করছেন তাঁরা।
কেদারের পাহাড় থেকে হু হু করে নামছে বরফের চাঁই! ধ্বসেই ২০২৪-এ ধ্বংস হবে কেদারনাথ?
তবে নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিপাকে পড়েছিলেন রাহুলের মা সোনিয়াও। যদিও রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন এবং নির্বাচনেও বহুবার জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছেন। কিন্তু কিন্তু জন্মসূত্রে ভারতীয় নন, এই অভিযোগ তুলে তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে দেওয়া হয়নি । তবে এবার রাহুলের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ উঠেছে, আর সত্যতা কতটা আছে সেটা খতিয়ে দেখতে চলেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এখন দেখা যাক মা কিংবা ঠাকুরমার মত কোন বিপদে পড়েন কি রাহুল? নাকি উল্টে এই মামলার দৌলতে প্রচারের আলোয় এসে আরও একটু জনপ্রিয়তা বাড়ে রাহুলের, সেটাই দেখার বিষয়।