বোস্টন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে প্রবাসী ভারতীয়দের এক সভায় ফের ভারতীয় সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবারে তাঁর নিশানায় ভারতের নির্বাচন কমিশন (EC)। রাহুলের অভিযোগ, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সময় ইসির ভূমিকা সন্দেহজনক ছিল এবং ভোটের সংখ্যার মধ্যে ‘অসঙ্গতি’ রয়েছে। (rahul gandhi slams ec)
কমিশন সম্পূর্ণভাবে ‘কম্প্রোমাইজড’
রাহুলের দাবি, “আমাদের কাছে একেবারে স্পষ্ট যে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে ‘কম্প্রোমাইজড’। সিস্টেমে কিছু গভীর সমস্যা রয়েছে।”
তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ যে ভোটার সংখ্যা কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, রাত সাড়ে সাতটার মধ্যে সেই সংখ্যার সঙ্গে হঠাৎই যুক্ত হয় আরও ৬৫ লক্ষ ভোট! “এই দু’ঘণ্টায় ৬৫ লক্ষ ভোট পড়েছে—এটা শারীরিকভাবে অসম্ভব,” মন্তব্য করেন রাহুল।
নির্বাচন কমিশনের কড়া প্রত্যাখ্যান: “অভিযোগ ভিত্তিহীন” rahul gandhi slams ec
রাহুলের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর এই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং কোনও প্রক্রিয়াগত ভিত্তিতে নয়। কমিশনের সূত্র উদ্ধৃত করে ANI জানাচ্ছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শেষ হওয়া স্পেশাল সামারি রিভিশন (SSR) প্রক্রিয়ার সময় মহারাষ্ট্রে মাত্র ৮৯টি আপিল জমা পড়েছিল।
ইসির বক্তব্য, “প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী (Section 24), বা ভোটার তালিকায় সংশোধনের আবেদন (Section 22), কিংবা নতুন নাম যুক্ত করার (Section 23) মতো আবেদন খুবই কম ছিল। দেশে ১.৩ কোটির বেশি বুথ লেভেল এজেন্ট কাজ করছেন, অথচ আপত্তির সংখ্যা সামান্য।”
সেই যুক্তি দেখিয়ে কমিশনের দাবি, SSR পরবর্তী প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা এখন কার্যত বিতর্কহীন।
রাজনৈতিক লড়াই নাকি প্রতিষ্ঠান আস্থার প্রশ্ন?
রাহুল গান্ধী এর আগেও বিদেশের মাটিতে ভারতের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি এই ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। বিশেষ করে যখন দেশে লোকসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তখন এই ধরনের মন্তব্যকে বিজেপি ‘দেশবিরোধী প্রচার’ বলেই চিহ্নিত করছে।
তবে কংগ্রেস শিবিরের দাবি, গণতন্ত্রকে রক্ষার স্বার্থেই এই প্রশ্ন তোলা জরুরি।
কী বলছে সাধারণ মানুষ?
রাহুলের অভিযোগ এবং নির্বাচন কমিশনের পাল্টা ব্যাখ্যা—কোনটা বিশ্বাসযোগ্য, কোনটা রাজনৈতিক চাল? সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
Bharat: Congress leader Rahul Gandhi claims 39 lakh new voters added in Maharashtra within five months, alleging discrepancies in the voter list. The Election Commission assures a detailed written response to these allegations.