মহা কুম্ভে যাননি রাহুল-উদ্ধব! মেলা শেষ হতেই তীব্র আক্রমণ গেরুয়া শিবিরের

নয়াদিল্লি: মহা কুম্ভ শেষ! প্রায় এক মাস ধরে চলা এই মেলায় সামিল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি থেকে তাবড় তাবড় নেতা-সেলিব্রটিরা৷ তবে প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে দেখা যায়নি কংগ্রেস…

নয়াদিল্লি: মহা কুম্ভ শেষ! প্রায় এক মাস ধরে চলা এই মেলায় সামিল হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি থেকে তাবড় তাবড় নেতা-সেলিব্রটিরা৷ তবে প্রয়াগের ত্রিবেণী সঙ্গমে দেখা যায়নি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে৷ মহা কুম্ভে ইতি পড়তেই রাহুল গান্ধী ও তার বন্ধু উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানল বিজেপি৷ গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই দুই নেতা নিজেদের ‘হিন্দুত্ববাদী’ দাবি করলেও, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ কুম্ভ মেলায় অংশগ্রহণ করেননি।

মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেন, “ওঁরা নিজেদের হিন্দুত্ববাদী বলে পরিচয় দেয়, কিন্তু কুম্ভ মেলায় যোগ দেয়নি। ৬৫ কোটি মানুষ সেখানে গিয়েছিল, কিন্তু তাঁরা গেলেন না। তাঁদের কথার আর কাজের মধ্যে বিশাল ফারাক রয়েছে।”

   

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহও রাহুল গান্ধী এবং উদ্ধব ঠাকরেকে ‘ভ্রান্ত’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ঠাকরে এখন সাভারকারের বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। তারা হিন্দু ধর্মের প্রতি সত্যিকার মনোভাব প্রদর্শন করতে পারছেন না।”

আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওলে আরও কঠোর মন্তব্য করে বলেন, “একজন হিন্দু হয়ে কুম্ভ মেলায় না যাওয়া হিন্দুদের অবমাননা। হিন্দুদের উচিত ওঁদের বয়কট করা।”

১৪৪ বছর পর মহা কুম্ভ মেলা আসে৷ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ বিদেশ থেকেও ছুটি এসেছেন ভক্তরা৷ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবারের কুম্ভ মেলায় প্রায় ৬৬ কোটি মানুষ পবিত্র স্নানে অংশ নিয়েছেন। রাহুল গান্ধী ২০-২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর নির্বাচনী এলাকা রায়বরেলীতে সফর করলেও কুম্ভ মেলায় উপস্থিত হননি। তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও মেলা থেকে দূরে ছিলেন।

কংগ্রেস নেতা অজয় রায় দাবি করেছেন, তিনি নিজে কুম্ভ মেলায় গিয়ে স্নান করেছেন এবং তিনি গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকে এটি করেছেন। তিনি বলেন, “কুম্ভ মেলা শেষ হয়েছে, এখন আর এটি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।”

এছাড়া, মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হর্ষবর্ধন সাপকাল বিজেপি নেতাদের মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিতে বলেছেন। তিনি বলেন, “এরা সংবিধান নিয়ে ঘুরে বেড়ায় এবং মজার জোকস বানায়। এসবের কোনো গুরুত্ব নেই।”

কুম্ভ মেলা নিয়ে এই রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক এখন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে চাপা লড়াই চলছে, তা আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।